স্টার্লিংকে ইচ্ছে করে হাঁটু দিয়ে মেরেও বেঁচে গেলেন পেপে

পেপের ট্যাকেলে মাঠে কাতরাচ্ছেন লিওনেল মেসি। উঠে যাওয়ার সময় আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের হাতের উপর নিজের পা এমনভাবে চাপিয়ে দেন তিনি, যেন অন্যমনস্কভাবে হেঁটে যাচ্ছেন কোথাও! ঘটনাটি ২০১২ সালের এল ক্লাসিকোর। আগের রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচেও ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রায় একই কাজ করেছেন এ পর্তুগিজ ডিফেন্ডার। ফাউল করার পর হেঁটে যাওয়ার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে হাঁটু দিয়ে রহিম স্টার্লিংকে আঘাত করেন পেপে।
ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়েও পোর্তোকে হারিয়ে ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরে শুভ সূচনা করেছে ম্যানসিটি। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে সফরকারীদের এগিয়ে দিয়েছিলেন লুইস দিয়াজ। পরে সার্জিও আগুয়েরো, ইলকাই গুন্দোগান ও ফেরান তোরেসের গোলে ৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটিজেনরা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অমন কাণ্ড ঘটান পেপে। ডি-বক্সের মধ্যে তার ট্যাকেলে পড়ে যান সিটি অধিনায়ক স্টার্লিং। আবেদন করেন পেনাল্টির। তাতেই ক্ষেপে ওঠেন ৩৭ বছর বয়সী এ পর্তুগিজ ফুটবলার। স্টার্লিংয়ের দিকে তেড়ে যান। আঙুল তুলে শাসাতে থাকেন। এক পর্যায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হাঁটু দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করেন স্টার্লিংয়ের বুকে। তারপরও কোনো রকম কার্ড দেখা বা শাস্তি থেকে বেঁচে গিয়েছেন পেপে।
তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে উঠেছে নিন্দার ঝড়। অনেকেই অবাক হচ্ছেন পেপেকে লাল কার্ড না দেখানোর জন্য। ভিএআর থাকার পরও এমনটা হওয়ায় হতাশ প্রকাশ করেন অনেকে। এর আগে অবশ্য ম্যাচের ২০তম মিনিটে একটি পেনাল্টি পেয়েছিলেন স্টার্লিং। পেপের ফাউলের শিকার হয়েই! আর সে স্পট-কিক থেকেই দলকে সমতায় ফেরান আগুয়েরো।
ডিফেন্ডার হিসেবে দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও মাঠে পেপের ভাবমূর্তি কখনোই ভালো ছিল না। তার নামটা শুনলেই দানবীয় কারও কথাই যেন মনে পড়ে প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের! ম্যাচে মাথা গরম করা যেন তার খেলার অংশ! লাল কার্ড দেখা, হাতাহাতিতে জড়ানো, লম্বা নিষেধাজ্ঞা পাওয়া- এসব তার জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। ২০০৮-০৯ মৌসুমে গেতাফের এক খেলোয়াড়কে বুট দিয়ে মাড়িয়ে দিয়ে ১০ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
Comments