ফাতিকে ‘রাস্তার ফেরিওয়ালা’র সঙ্গে তুলনা, ক্ষমা চাইলেন সাংবাদিক
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরেন্সভারোসের বিপক্ষে নজরকাড়া নৈপুণ্য উপহার দিয়েছিলেন আনসু ফাতি। গিনি-বিসাউয়ে জন্ম নেওয়া এই তরুণ গড়েছিলেন রেকর্ডও। বার্সেলোনা তারকার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নিয়ে এরপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল তার নিজ দেশ স্পেনের গণমাধ্যম ‘এবিসি’।
তবে ফাতির গতি নিয়ে বলতে গিয়ে তাকে ‘পুলিশ দেখে পালানো রাস্তার কালো ফেরিওয়ালা’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন প্রতিবেদক সালভাদর সোস্ত্রেস। এমন বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠার পর ক্ষমা চেয়েছেন ওই স্প্যানিশ সাংবাদিক।
গত মঙ্গলবার রাতের বার্সেলোনা-ফেরেন্সভারোসের ম্যাচের পর ‘এবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ফাতি যখন ছোটে, তখন গ্যাজেলের (এক ধরনের হরিণ) দৌড়ের সঙ্গে তার মিল পাওয়া যায়। সে যেন এক তরুণ, রাস্তার কালো ফেরিওয়ালা, যে পাসেও দো গ্রাসিয়ায় (বার্সেলোনা শহরের অন্যতম এভিনিউ) “পানি”, “পানি” বলে চিৎকার করে (বাকিদের সতর্ক করে দেওয়ার জন্য), যখন পুলিশ আসে।’
‘আদা কোলাওয়ের (বার্সেলোনার মেয়র) কারণে এখন আর এসব দেখা যায় না। কারণ, পুলিশই অপরাধ করে থাকে, রাস্তার ফেরিওয়ালারা নয়। তাই আর দ্রুত পালানোর দরকার হয় না। এটা সত্য যে, (করোনাভাইরাসের কারণে) পর্যটক ছাড়া তাদের ব্যবসা জমে না।’
বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়ার পর ফাতি পাশে পেয়েছেন তার বার্সা সতীর্থ আঁতোয়ান গ্রিজমানসহ আরও অনেককে। বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি ফরোয়ার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘আনসু একজন অনন্য ছেলে যে সব মানুষের মতোই সম্মান পাওয়ার দাবি রাখে। বর্ণবাদকে “না”, বাজে আচরণকে “না”।’
এরপর বৃহস্পতিবার ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে ‘এবিসি’। সোস্ত্রেসে লিখেছেন, ‘একজন তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে আমি আনসুর মুভমেন্ট ও মানের প্রশংসা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু মন্তব্যকে বর্ণবাদী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে আমার অভিপ্রায় ও মতামতে এমন কোনো কিছুর ভাবনা ছিল না।’
‘ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং যারা আঘাত পেয়েছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’
Comments