বৃষ্টি থাকবে কয়েকদিন, উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশে পাশে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েকদিন বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তন হবে না। দুপুরের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকবে।
Patuakhali_23Oct20.jpg
পটুয়াখালীতে বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ছবি: সোহরাব হোসেন

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশে পাশে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েকদিন বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তন হবে না। দুপুরের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকবে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘আজ সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম, মোংলা থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে আসতে পারে। গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রে ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। দমকা হওয়ার আকারে এটি ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল আছে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’

‘আশঙ্কা করা হচ্ছে, গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ইতোমধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে’— বলেন তিনি।

বজলুর রশিদ আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে দুই নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’

উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে আট শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র, ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও ১১০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গতকাল রাতে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় নগদ দুই লাখ টাকা ও ২৮৫ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে।

নদীবন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে ৬৫ ফুটের চেয়ে কম দীর্ঘ নৌযান ও স্পিডবোট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল বিকালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালীর কোড়ালিয়া ঘাট থেকে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট গলাচিপার উদ্দেশে রওনা দিলে মাঝ নদীতে ডুবে যায়। ১৩ জন সাঁতরে নদীর তীরে উঠতে পারলেও পাঁচ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

ভলান্টিয়ার মো. জহিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পাঁচটি উপজেলায় ছয় হাজার সিপিবি, ফায়ার সার্ভিসের ৫০ জন, রেডক্রিসেন্টের ৫০ জন ও যুব উন্নয়নের ৩০০ জন ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago