স্টার্ক, আর্চার, বুমরাহর মতো কাউকে বাংলাদেশ দলেও খুঁজছেন ডমিঙ্গো

taskin ahmed
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে মিচেল স্টার্ক, ইংল্যান্ডে জোফরা আর্চার, ভারতে জসপ্রিত বুমরাহ, দক্ষিণ আফ্রিকা কাগিসো রাবাদা। বাংলাদেশে? ম্যাচের যেকোনো সময়ে উইকেট শিকারের সামর্থ্য রাখেন, প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেন এমন গতিময় পেসারের খোঁজে আছেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এই মুহূর্তে তার পছন্দের তালিকায় আছেন তাসকিন আহমেদ ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ।

চলমান বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপ ও এর আগের দুই দিনের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ঝলক দেখিয়েছেন তাসকিন। পাশাপাশি খালেদের বোলিংও মনে ধরেছে দক্ষিণ আফ্রিকান ডমিঙ্গোর।

বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ জানান, টাইগার পেসাররা তাকে আশাবাদী করে তুলছে, ‘যখন আমি এখানে এসেছি, তখন থেকেই বলছি যে, কিছু ভালো ফাস্ট বোলার গড়ে তোলা জরুরি। তাদেরকে যত বেশি সম্ভব খেলাতে হবে। বিশেষ করে, দেশের বাইরে লড়াই করতে হলে। যা দেখেছি এখন পর্যন্ত, তাতে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। দেখুন, তাসকিন কীভাবে বল করছে।’

Syed Khaled Ahmed
পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ফাইল ছবি

বিশ্বের সেরা সব দলের সেরা পেসারদের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘সব আন্তর্জাতিক দলেই সাদা বলের ক্রিকেটে এমন একজন ফাস্ট বোলার আছে, দলের উইকেট দরকার হলে যাকে আক্রমণে আনা হয়। ইংল্যান্ড আনে আর্চারকে, অস্ট্রেলিয়া স্টার্ককে, দক্ষিণ আফ্রিকা রাবাদাকে এবং ভারত বুমরাহকে। এটা তাই দারুণ যে, আমাদের হাতে এখন সেরকম কিছু বিকল্প আছে। খেলায় যখন তীব্র লড়াই হয়, তখন গতিময় বল করতে পারে এমন কাউকে আমরা ডাকতে পারি। তাসকিন বা খালেদের মতো কেউ বাউন্সারে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে দিতে পারে। আমার জন্য এটা খুবই সন্তুষ্টির।’

প্রস্তুতিমূলক আসর হলেও প্রেসিডেন্ট’স কাপে ব্যাটসম্যান-স্পিনারদের ছাপিয়ে পেসারদের পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো। তাসকিন, খালেদের পাশাপাশি মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আল আমিন হোসেন, শরিফুল ইসলামরা করেছেন দারুণ বোলিং।

সবমিলিয়ে সন্তুষ্টি ঝরছে ডমিঙ্গোর কণ্ঠে, ‘এই ওয়ানডে টুর্নামেন্ট (বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপ) থেকে একটি প্রাপ্তির কথা বলতে হলে, আমি ফাস্ট বোলারদের পারফরম্যান্সের কথা বলব। গণমাধ্যম ও ভক্তরা এটা নিয়ে রোমাঞ্চিত হতে পারে। আমরা একমাত্রিক দল হতে চাই না। বিশেষ করে, যখন আমরা দেশের বাইরে যাই। ওরা যখন ব্যাটসম্যানদের জীবন কঠিন করে তোলে, আমি তাতে রোমাঞ্চিত হই। ম্যাচ জিততে হলে আপনাকে ১০ বা ২০ উইকেট নিতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

9m ago