বেতন কম নিতে রাজী ইংলিশ ক্রিকেটাররা

চলতি বছর ইংল্যান্ডের মাটিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হওয়ার কথা ছিল। ছিল টি-১০ ক্রিকেট লিগও। তবে এর সব আয়োজন সম্ভব হয়নি। যা হয়েছে তাও খালি স্টেডিয়ামে। করোনাভাইরাসের ভয়াবহ থাবায় আর্থিক সংকটে কিছুটা হলেও পড়েছে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ড ইসিবি। তাই খেলোয়াড়দের বেতন কম নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তারা। শুরুতে রাজী না হলেও অবশেষে রাজী হয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা।
ছবি: রয়টার্স

চলতি বছর ইংল্যান্ডের মাটিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হওয়ার কথা ছিল। ছিল টি-১০ ক্রিকেট লিগও। তবে এর সব আয়োজন সম্ভব হয়নি। যা হয়েছে তাও খালি স্টেডিয়ামে। করোনাভাইরাসের ভয়াবহ থাবায় আর্থিক সংকটে কিছুটা হলেও পড়েছে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ড ইসিবি। তাই খেলোয়াড়দের বেতন কম নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তারা। শুরুতে রাজী না হলেও অবশেষে রাজী হয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে গত এপ্রিলে খেলোয়াড়দের বেতন কম নেওয়ার প্রস্তাব দেয় ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আলোচনা চলে ইংল্যান্ডে ক্রিকেটারদের সংগঠন টিম ইংল্যান্ড প্লেয়ার পার্টনারশিপে (টিইপিপি) সঙ্গে। ২৫ শতাংশ বেতন নেওয়ার প্রস্তাব সে সময় নাকচ করে দেয় সংস্থাটি। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্রিকেটাররা বেতন কমানোর প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

সংবাদে তারা জানিয়েছে, আর্থিক সংকট কাটাতে আগামী বছর পর্যন্ত ১৫ শতাংশ বেতন কম নিতে রাজী হয়েছেন মরগান-রুটরা। ফলে সবমিলিয়ে তাই প্রায় ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ বাঁচবে ইসিবির। এর আগে ইসিবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, চলতি বছরে তারা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা।

অতিমারির এ সময়ে বেতন কম নেওয়ায় খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসিবি পরিচালক অ্যাশলে জাইলস। পাশাপাশি টিইপিপিকেও ধন্যবাদ জানান তিনি, 'আমি তাদের সহযোগিতার জন্য খেলোয়াড় এবং টিইপিপিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যা আমাদের এই চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম করেছে। আমাদের খেলোয়াড় ও তাদের প্রতিনিধিদের (টিইপিপি) সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ়। অধিনায়ক জো রুট এবং ইয়ন মরগানের নেতৃত্বে আমাদের খেলোয়াড়রা এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে পুরোপুরি পরিপক্বতা এবং দায়িত্ব নিয়ে নিজেকে পরিচালনা করেছেন।'

উল্লেখ্য, বেশ বড় অঙ্কের বেতন পেয়ে থাকেন ইংলিশ খেলোয়াড়রা। টেস্ট দলের প্রতি খেলোয়াড় বাৎসরিক বেতন পান ৭ লাখ ইউরো করে (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৬ কোটি টাকা)। সঙ্গে টেস্ট অধিনায়ক মূল বেতনের ২৫% বোনাস পান। আর সাদা বলের চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা ইসিবির কাছ থেকে বাৎসরিক বেতন হিসেবে পান ন্যুনতম ১ লাখ ৮০ হাজার ইউরো। সিনিয়র কোন কোন ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে এ অংকটা প্রায় দ্বিগুণ।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago