নাইজেরিয়ায় বিক্ষোভে ৬৯ জনের মৃত্যু

নাইজেরিয়ার বিক্ষোভে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি।
NIGERIA-PROTESTS-POLICE.jpg
দু্ই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নাইজেরিয়ার বড় শহরগুলোতে পুলিশের বিতর্কিত বিশেষ বাহিনী স্পেশাল অ্যান্টি-রবারি স্কোয়াডের (সার্স) বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। ছবি: রয়টার্স

নাইজেরিয়ার বিক্ষোভে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। তবে বিক্ষোভে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং সেনা সদস্যের মৃত্যুর খবরও জানা গেছে।

প্রেসিডেন্ট বুহারির এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, নাইজেরিয়ার সাবেক নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে নিহতের সংখ্যা ঘোষণা করেছেন তিনি। কীভাবে দেশের এই অশান্তি, বিশৃঙ্খলার অবসান করা যায় তা নিয়েই ওই বৈঠক হয়েছে।

শুক্রবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বুহারি (৭৭) জানিয়েছেন, বিক্ষোভে ৫১ বেসামরিক, ১১ পুলিশ সদস্য ও ৭ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।

তবে প্রেসিডেন্টের ঘোষণা করা নিহতদের মধ্যে মঙ্গলবার সেনা সদস্যদের গুলিতে নিহতদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কি না সে বিষয়টি নিশ্চিত না।

এদিকে, দেশটিতে বিক্ষোভের আয়োজন করা একটি গ্রুপ এখন সবাইকে বাড়িতে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে। নারীবাদী জোটও লোকজনকে তাদের রাজ্যের কারফিউ অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাগোসে কারফিউ কিছুটা শিথিল করা হবে।

টানা দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নাইজেরিয়ার বড় শহরগুলোতে পুলিশের বিতর্কিত বিশেষ বাহিনী স্পেশাল অ্যান্টি-রবারি স্কোয়াডের (সার্স) বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বহু হতাহত ছাড়াও অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

সার্স হলো নাইজেরিয়া পুলিশের একটি বিতর্কিত শাখা। এই শাখার বর্বরতার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরুর পর এটি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার।

পরবর্তীতে ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়ার পরেও বিক্ষোভকারীরা আরও বিস্তৃত সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যান।

মঙ্গলবার দেশটির বৃহত্তম শহর লাগোসে বিক্ষোভকারীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়। দেশটির নিরাপত্তারক্ষীরা কমপক্ষে ১২ জনকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তবে সেসময় নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী এই হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট এর আগে টেলিভিশন দেওয়া এক বক্তব্যে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ বন্ধ করে ‘সমাধানের উদ্দেশ্যে’ সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। সেসময় লাগোসের গুলির কথা উল্লেখ না করায় তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago