নারায়ণগঞ্জে ভাড়াটিয়াকে পিটিয়ে হত্যা, বাড়িওয়ালাসহ ৩ জন রিমান্ডে
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বাসা ভাড়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাড়াটিয়াকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বাড়িওয়ালাসহ তিন জনের পৃথক পৃথক রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার উম্মে কুলসুমের একদিন, মহিউদ্দিনের তিন দিন ও তার স্ত্রী শিরিনা বেগমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আহমেদ হুমায়ূন কবির এ রিমান্ড আদেশ দেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তিন আসামির রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত শুনানি শেষে পৃথক পৃথক রিমান্ড আদেশ দেন।’
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, ‘সকালে নিহতের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়।’
এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পুরান বন্দর প্রধানবাড়ী এলাকার মিছিল আলী মিয়ার ভাড়াটিয়া ফয়েজ মিয়াকে (৪২) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার চরবলাকি এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে ফয়েজ মিয়া ও তার পরিবার দীর্ঘ ৩ বছর ধরে পুরান বন্দর প্রধানবাড়ী এলাকার মিছির আলী মিয়ার বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন। করোনার কারণে ব্যবসা মন্দ থাকায় সাত মাসের বকেয়া ঘর ভাড়া জমে যায়। সময় মতো ঘর ভাড়া দিতে না পারায় গত ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাড়িওয়ালা উম্মে কুলসুমের সঙ্গে ফয়েজ মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। ওই সময় রোজিনা বেগম বকেয়া ঘর ভাড়া সাত হাজার টাকার মধ্যে চার হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তারপরও উম্মে কুলসুম ঘর ভাড়া বিষয়ে অপর ভাড়াটিয়া মহিউদ্দিন ও তার স্ত্রী শিরানা বেগমকে জানায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার সকালে ঘর ভাড়াকে কেন্দ্র করে বাড়িওয়ালার পক্ষ নিয়ে অন্য ভাড়াটিয়া মহিউদ্দিনের সঙ্গে ফয়েজ মারামারিতে জড়িয়ে পরে। ওই সময় মহিউদ্দিন ও তার স্ত্রী শিরিনা বেগম মিলে ফয়েজকে এলোপাতাড়িভাবে কিল ও ঘুষি মেরে আহত করে। পরে ফয়েজকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আরও পড়ুন:
Comments