নোয়াখালীতে পৃথক দুই ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এবং হাতিয়ায় পৃথক দুটি ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় শনিবার রাতে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ও রোববার সকালে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান সিকদার ও হাতিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের।

বেগমগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলা থেকে জানা যায়, চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর এলাকার ভুক্তভোগী কিশোরী তার বাবা-মায়ের সঙ্গে নিজ বাড়িতে থাকেন। গত শুক্রবার রাত দুইটার দিকে একই এলাকার সুমন ওই কিশোরীর বসত ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তাকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় কিশোরীর চিৎকারে পাশের কক্ষে থাকা তার মা-বাবা ছুটে এলে অভিযুক্ত সুমন পালিয়ে যায়। 

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘শনিবার রাতে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সুমনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আজ সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

হাতিয়া থানায় দায়ের মামলা থেকে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চর কৈলাস এলাকায় এক নারীর (২৫) ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে রোববার সকালে হাতিয়া থানায় ট্রপেল দাস নয়ন ও তার সহযোগীকে মাসুদের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ভুক্তভোগী নারীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।