ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরিও যে কারণে অম্লমধুর স্টোকসের কাছে
ম্যাচটা না জিততে পারলে টুর্নামেন্টের পরের ধাপে যাওয়ার আশা একদম মিইয়ে যেত রাজস্থান রয়্যালসের। দেয়াল পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় সামনে ছিল বড় রান পেরুনোর চ্যালেঞ্জ। অমন মঞ্চেই উত্তাল হয়ে উঠল বেন স্টোকসের ব্যাট। দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে দুরন্ত সেঞ্চুরি করে দলকে অসাধারণ জয় পাইয়ে দেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। দলের পরিস্থিতি, প্রতিপক্ষ আর নিজের অবস্থা বিচার করে যা তাকে দিচ্ছে অম্লমধুর এক অনুভূতি।
রোববার আবুধাবিতে আগে ব্যাট করা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স জড়ো করেছিল ১৯৫ রান। রান তাড়ায় ৪৪ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ায় জেগেছিল শঙ্কা। কিন্তু ওপেন করতে নামা স্টোকস খেলছিলেন তার মতই আগ্রাসী মেজাজে। পরে সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে হয়ে উঠেন আরও বিস্ফোরক।
ট্রেন্ট বোল্ট, জাসপ্রিট বোমরাহ সমৃদ্ধ মুম্বাইর বোলিংও এলোমেলো হয়ে যায় তাদের দাপটে। ৬০ বলে ১৪ চার , ৩ ছক্কায় ১০৭ রান করেন স্টোকস। ৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি, ৩ ছক্কায় ৫৪ করেন স্যামসন। ৮ বল আগেই ৮ উইকেটে জিতে যায় রাজস্থান।
১২ ম্যাচ খেলে রাজস্থানের পয়েন্ট এখন ১০। বাকি দুই ম্যাচ তো জিততেই হবে। জিতলেও নিশ্চিত হবে না পরের রাউন্ড। অপেক্ষা করতে হবে অন্যদের ম্যাচের ফলের উপর। এই কারণেই তাই মিশ্র অনুভূতি স্টোকসের, ‘কিছুটা অম্লমধুর অবস্থা সত্যি করে বললে। দলের হয়ে অবদান রাখতে অনেকটা সময় লাগল।এই ছন্দ আমি আরও দুই তিন ম্যাচ আগে আশা করেছিলাম। আমরা অন্যদের ফলের উপর পরের রাউন্ডে যাওয়া নির্ভর করতে চাইছিলাম না। অবশ্যই ছন্দে ফেরা আনন্দের। আজ জেতাটা খুবই দরকার ছিল। কাজেই এটা ভাল জয়।’
‘গতকালের অনুশীলন ছিল সেরা। পুরোটা সময় কাজে লাগিয়েছি। অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে আজকের খেলায় আসতে পেরেছি। খেলাটা শেষ করে আসতে পারায় স্বস্তি লাগছে। বল খুব ভাল আসছিল। সব বোলারকে মেরে চাপ তৈরি করে আমরা একটা ভাল জায়গায় চলে যাই। তাদের বোমরাহ আছে। যেমনটা ভেবেছিলাম তারচেয়ে সহজে ওর থেকে রান বের করেছি।’
Comments