হাজী সেলিমের ছেলে র্যাব হেফাজতে
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় হাজী সেলিমের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফান ও তার দেহরক্ষীকে হেফাজতে নিয়েছ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ সোমবার দুপুরে পুরান ঢাকার ওই বাসাটিতে শুরু হওয়া অভিযানটি এখনো চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মিডিয়ার উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
এর আগে, গতকাল রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ইরফান সেলিমসহ (৩৭) চারজনের নামে এবং দুই-তিনজনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে গতরাতে লেফটেনেন্ট ওয়াসিফ ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া।
মামলায় অন্যরা অভিযুক্ত হলেন— এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), মো. জাহিদ (৩৫) ও মো. মিজানুর রহমান (৩০)।
এজহারে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টার দিকে নীলক্ষেত থেকে পাঠ্যবই কিনে লেফটেনেন্ট ওয়াসিফ ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলে ঢাকা সেনানিবাসে ফেরার পথে ল্যাবএইড হাসপাতালের কাছে রাস্তায় ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-৫৭৩৬ গাড়ি তাদেরকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। পরিচয় দেওয়ার পরও গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তাদের গালিগালাজ করে ও হত্যার হুমকি দেয়।
এরপর কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের কাছে সেই গাড়িটিকে থামিয়ে নৌ কর্মকর্তা আবারও পরিচয় দিলে গাড়ির আরোহীরা সবাই নেমে এসে তাকে কিলঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে রাস্তায় ফেলে দেয়।
আহত নৌ কর্মকর্তাকে আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, গাড়ির চালক ছাড়া অন্যরা পালিয়ে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ চালককে হেফাজতে নেন।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘কেউ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সে যেই হোক। সে জনপ্রতিনিধি হোক বা যেই হোক। আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।’
আরও পড়ুন:
‘নৌ কর্মকর্তাকে মারধরের’ অভিযোগে হাজী সেলিমের ছেলের বিরুদ্ধে মামলা
Comments