১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে ১ হাজার জমা দিয়ে মামলা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলি বিওপির লম্বাঘোনা নামক স্থান থেকে গত ২৪ অক্টোবর ১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি-১১) একটি টহল দল। তবে, ১০ হাজার পিস ইয়াবার মধ্যে এক হাজার পিস জমা দিয়ে গতকাল রোববার নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে বিজিবি।
বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত ২৪ অক্টোবর ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে বিজিবি। তবে, গতকাল দুপুরে এক হাজার পিস জমা দিয়ে মামলা করেন বিজিবি-১১’র নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের নায়েক সুবেদার মো. ইব্রাহিম হোসেন।’
বিজিবি-১১’র অধিনায়ক আবদুল আজীজ আহমেদের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা বলা হলেও মামলায় দেখানো হয় এক হাজার পিস ইয়াবা।
গতকাল দুপুরে করা মামলাটির একটি কপি দ্য ডেইলি স্টারের হাতে এসেছে। মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ফুলতলি বিওপির লম্বাঘোনা নামক স্থান থেকে প্রতিটি দুই শ পিসের পাঁচটি নীল রঙের প্যাকেটে মোট এক হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে বিজিবি-১১’র একটি নিয়মিত টহল দল।
১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেও এক হাজার পিস জমা দিয়ে মামলা করার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি-১১’র একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ জমা দিয়ে বাকিটা আমাদের কাছে জমা রাখি। আমরা বছরে একবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দাওয়াত দেই। তিনি আসেন। তার সামনেই আমাদের কাছে জমা রাখা মাদকগুলো ধ্বংস করা হয়।’
তবে, আইনগতভাবে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পর তা কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার নিজের কাছে রেখে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি আরও জানান, ইয়াবা চোরাকারবারির এই ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে বিজিবি থানায় মামলাটি করেছে।
Comments