মেসিকে আটকে রাখার কারণ জানালেন বার্তোমেউ

চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েছিলেন দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। তবে ক্লাব থেকে বলে দেওয়া হয়, ছাড়তে হলে পুরো রিলিজ ক্লজের অর্থ দিয়েই যেতে হবে তাকে। তার পাহাড়সম রিলিজ ক্লজ কোনো ক্লাবের পক্ষে শোধ করা সম্ভব নয়, তা ভালো করেই জানতেন ক্লাব সভাপতি জোসে মারিয়া বার্তোমেউ। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই বার্সায় থেকে যেতে হয় মেসিকে।
messi
ছবি: রয়টার্স

চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েছিলেন দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। তবে ক্লাব থেকে বলে দেওয়া হয়, ছাড়তে হলে পুরো রিলিজ ক্লজের অর্থ দিয়েই যেতে হবে তাকে। তার পাহাড়সম রিলিজ ক্লজ কোনো ক্লাবের পক্ষে শোধ করা সম্ভব নয়, তা ভালো করেই জানতেন ক্লাব সভাপতি জোসে মারিয়া বার্তোমেউ। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই বার্সায় থেকে যেতে হয় মেসিকে।

তবে বার্সা ছাড়ার পথ একটা খোলা ছিল মেসির জন্য। সেটা আইনি লড়াই। কিন্তু প্রিয় ক্লাবকে কাঠগড়ায় তুলতে চাননি এ আর্জেন্টাইন। তাই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে সিদ্ধান্ত বদল করার দিনে ক্লাব সভাপতিকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও এ নিয়ে তখন কোনো কথাই বলেননি বার্তোমেউ। তবে অবশেষে মুখ খুলেছেন তিনি। মেসিকে আটকে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বহুল ক্লাব সভাপতি।

'তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে আমাদের প্রজেক্টটি খুব দারুণ হবে সঙ্গে যদি তার (মেসি) মতো অভিজ্ঞ কেউ থাকে। আমার ধারণা তাকে নিয়ে এ বছর আমরা শিরোপা জিততে পারবো। আমি সবার অবস্থান বুঝতে পারছি, এটা বোঝাটা জরুরি। লিওর ক্ষেত্রে, সে যে রেগেছে সেটা ভালো লক্ষণ। কারণ হার মেনে নেওয়া ঠিক না এবং আমাদের সবার রাগ হয়েছে। কিন্তু সে থাকবে কি থাকবে না সেটা জানানোর একটা নির্দিষ্ট দিন ছিল। সে তখন জানায়নি, আর ব্যাপারটি ওখানেই শেষ। আমরা সবাই চাই সে বার্সেলোনা থেকেই অবসরে যাক।' -মেসিকে আটকে রাখার কারণ জানিয়ে বলেন বার্তোমেউ।

মূলত তরুণদের নিয়ে নতুন প্রজেক্টে মেসিকে রাখতেই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান বার্সা সভাপতি, 'আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল মেসিকে নতুন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা। তাই আমি কোনো আলোচনায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত থেকেছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে আমি নাকি আর্থিক সামঞ্জস্য আনার জন্য তাঁর বিদায় নিশ্চিত করতে চেয়েছি। কিন্তু সেটা ঠিক না। আমি ক্লাবের প্রয়োজনটাকেই গুরুত্ব দিয়েছি এবং প্রতিপক্ষকে (ম্যানচেস্টার সিটি) শক্তিশালী করতে চাইনি। আমরা জানতাম এ সিদ্ধান্তের জন্য আমাদের সমালোচনা হবে। তবু সেটা করেছি।'

মেসিকে আটকে রাখতে পারলেও সে ঘটনার পর নানা কারণে তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বার্তোমেউর পদত্যাগ চেয়ে স্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হয়। তিন ধাপ পেরিয়ে এখন গণভোট আয়োজনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। ক্লাবের স্থায়ী সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশ ভোটার স্বাক্ষর কর্মসূচি পরিচালনাকারীদের পক্ষে ভোট দেন তবে বার্তোমেউ ও তার বোর্ড সদস্যদের দায়িত্ব ছাড়তে হবে। জানা গিয়েছিল এর আগেই পদত্যাগ করতে পারেন তিনি। কিন্তু এমন ইচ্ছা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছেন বার্তোমেউ, 'মেসির ঘটনার কারণে আমার কখনো মনে হয়নি পদত্যাগ করব।'

প্রাথমিকভাবে আগামী ১ ও ২ নভেম্বর বার্তোমেউর বিপক্ষে অনাস্থা ভোট আয়োজন করার কথা রয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের এ সময়ে নির্বাচন বাতিল করার অনুরোধ করেছে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত যদি বাতিল নাও করা হয় তাহলে কমপক্ষে ১৫ দিন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে তারা। অন্যথায় তাদের পক্ষ থেকে প্রক্রিয়াটির জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতা করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বার্তোমেউ।

Comments

The Daily Star  | English

Political parties want road map to polls

Leaders of major political parties yesterday asked Chief Adviser Professor Muhammad Yunus for a road map to the reforms and the next general election.

1h ago