মেসি-দেম্বেলের গোলে জুভেন্টাসকে হারাল বার্সেলোনা

ছবি: টুইটার

ঘরের মাঠে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে ছাড়া মাঠে নেমতে হয়েছিল জুভেন্টাসকে। তবে দলের সেরা তারকাকে ছাড়া সুবিধা করে উঠতে পারেনি দলটি। বার্সেলোনার কাছে হেরে গেছে তারা। যদিও ভাগ্যও সঙ্গ দেয়নি তাদের। তিন তিনবার বল জালে জড়িয়েও গোলের দেখা পায়নি দলটি। 

শেষ পর্যন্ত তুরিনের অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে বার্সেলোনার কাছে ০-২ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় জুভেন্টাস। বার্সার হয়ে গোল পেয়েছেন উসমান দেম্বেলে ও লিওনেল মেসি।

ঘরের মাঠে খেললে ম্যাচের শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল ইতালির ক্লাবটি। মাঝমাঠের দখল ছিল সফরকারীদেরই। ১০টি শট নিলেও তার একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি জুভেন্টাসের খেলোয়াড়রা। অন্য দিকে বার্সা ফরোয়ার্ডরা জেন সুযোগ নষ্ট করার মহড়ায় নামেন। বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট না হলে ব্যবধান হয়তো আরও বড় হতে পারতো।

এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো সফরকারীরা। মিরালেম পিয়ানিচের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক বয়েচেক সেজনি। আলগা বল সতীর্থদের পা ঘুরে আসে ডি-বক্সে থাকা গ্রিজমানের কাছে। জোরালো এক শট নিয়েছিলেন এ ফরাসি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার, বল বারপোস্টে লেগে  ফিরে আসলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয় সফরকারীদের।

তবে এগিয়ে যেতে খুব বেশি দেরি হয়নি তাদের। ১৪তম মিনিটে অনেকটা ভাগ্যক্রমে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। বাঁ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে থাকা দেম্বেলেকে পাস দেন মেসি। বলে ধরে তিন খেলোয়াড়ের মাঝ থেকে দূরপাল্লার শট নেন এ ফরাসি। কিন্তু এক জুভ খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে গোলরক্ষক সেজনির মাথার উপর দিয়ে দূরের বারপোস্ট দিয়ে জালে জড়ায় বল।

সাত মিনিট পর দারুণ এক সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। গ্রিজমানের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। ৩৩তম মিনিটে ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের বাড়ানো বল কোয়াদ্রাদো ঠিকভাবে ঠেকাতে না পারায় ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন জর্দি আলবা। তবে তার শট ছিল অনেক বাইরে।

দুই মিনিট পর মিনিটে অবিশ্বাস্য এক মিস করেন দেম্বেলে। ডি-বক্সে ফাঁকায় থাকা এ ফরসিকে বল দিয়েছিলেন মেসি। শট না নিয়ে দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোলরক্ষককেও কাটাতে গিয়ে বল হারিয়ে ফেলেন। পরে আলগা বল পেয়ে গিয়েছিলেন গ্রিজমান। কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক সেজনি।

ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে বার্সার জালে বল পাঠিয়েছিলেন মোরাতা। তবে অফসাইড পজিশনে থাকায় ভিএআরে বাতিল হয় সে গোল। এর আগেও অফসাইডে থেকে দুইবার বল জালে পাঠালেও গোল পাননি। সাত মিনিট পর ৬২তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ভালো শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৬৯তম মোরাতার ব্যাক হিল থেকে ডি-বক্সের সামনে ভালো জায়গা থেকে বল পেয়েছিলেন আদ্রেয়ান রাবিউত। কিন্তু উড়িয়ে মারেন তিনি। ছয় মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন গ্রিজমান। মেসির বাড়ানো বলে বাঁ প্রান্তে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে মারেন তিনি।

এক গোলে পিছিয়ে থাকা জুভেন্টাস আরও বড় ধাক্কা খায় ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বহিষ্কার হন দেজান কুলুসেভস্কি। উল্টো পাঁচ মিনিট পর আরও পিছিয়ে পড়ে দলটি। সফল স্পটকিক থেকে ব্যবধান বাড়ান মেসি। ডি-বক্সের মধ্যে আনসু ফাতিকে পেছন থেকে বের্নারদেস্কি। জাতীয় দল ও বার্সার হয়ে চলতি মৌসুমে এ নিয়ে চারটি গোল দিলেন মেসি। আর চারটি গোলই আসে পেনাল্টি থেকে।

ম্যাচের যোগ করা সময়ে দিনের সেরা সুযোগটি হেলায় হারান ফাতি। ডি-বক্সে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সময়ও পেয়েছিলেন শট নেওয়ার। কিন্তু নিজে শট না নিয়ে মার্তিন ব্র্যাথওয়েটকে বল বাড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বলের নাগালই পাননি ব্র্যাথওয়েট। তবে তাতে খুব সমস্যা হয়নি বার্সার। সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

EC to register Bangladeshi voters in 5 more countries

Expatriates in the US, Maldives, Jordan, South Africa, and Oman now eligible for enrolment

44m ago