লাল বলে মনোযোগ নতুন এইচপি কোচের
ওয়ানডে সংস্করণে বাংলাদেশকে এখন সমীহ করে না এমন দল নেই ক্রিকেট বিশ্বে। ৫০ ওভারের ম্যাচে দারুণ এগিয়েছে টাইগাররা। খুব একটা খারাপ নয় টি-টোয়েন্টিতেও। কিন্তু সে অর্থে টেস্ট ক্রিকেটে আগাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। দেশের মাটিতে যেমন তেমন দেশের বাইরে হিমশিম খেতে হয় তাদের। তাই লাল বলে সাবলীলভাবে খেলতে পারার মতো পারদর্শী ক্রিকেটার তৈরির দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন এইচপি ক্যাম্পের নতুন কোচ টবি র্যাডফোর্ড।
ভবিষ্যতে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেন এমন সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের নিয়েই চলে এইচপি ক্যাম্প। আর শুরুতেই এ সকল খেলোয়াড়দের লাল বলে খেলায় পারদর্শী করতে চান এ ইংলিশ কোচ, 'আমি বোর্ডকে জানিয়েছি, আমি খেলোয়াড়দের বলেছি যে আমি এমন একটা গ্রুপ তৈরি করতে চাই যারা টেস্ট ক্রিকেটে সত্যিকার অর্থে দাঁড়াতে পারবে। তারা টেকনিক্যালি শক্তিশালী হবে, তারা যেন ৯০ মাইল গতির মতো মোকাবেলা করতে পারে, পাঁচ ঘণ্টা ব্যাটিং করতে পারে, লম্বা স্পেলে বোলিং করতে পারে। তাই ক্যাম্পে আমার প্রায় পুরো মনোযোগ থাকবে লাল বলেই।'
টেস্ট ক্রিকেটে আগাতে না পারলেও দেশের মাটিতে টাইগারদের সাফল্য খুব একটা খারাপ নয়। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছে তারা। কিন্তু স্পিন ট্র্যাকে প্রতিপক্ষের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে পেয়েছে এ জয়। কিন্তু দেশের বাইরে ঠিক উল্টোটাই হয়েছে। সবুজ উইকেটে পাত্তাই পায়নি তারা। তাই ক্যাম্পের একটা বড় অংশ দেশের বাইরে করতে চান এ কোচ।
'আমি দেশের বাইরে যেমন ইংল্যান্ডের মতো পরিবেশে ক্যাম্প করতে চাই। আমার মনে হয় এটা টেস্ট দলের জন্য খুবই ভালো হবে। সহজ কন্ডিশনে নয়। একসময় এই খেলোয়াড়রাই বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলবে। কোনো এক সময় তারা লর্ডসে যাবে, অ্যান্ডারসন, ব্রড অথবা ওকসদের মোকাবেলা করবে। তাই ওইধরনের সিমিং কন্ডিশনে পিচে তাদের অভ্যস্ত করতে চাই, যেখানে বল সুইং করবে কারণ এটা খুব কঠিন। এ সবে মানিয়ে নেওয়ার একটাই পথ অনুশীলন।'-দেশের বাইরে ক্যাম্প করার গুরুত্ব জানিয়ে এমনটাই বলেন র্যাডফোর্ড।
এছাড়া চিন্তাশীল ক্রিকেটারের খোঁজে আছেন এ কোচ, 'আমি চিন্তাশীল ক্রিকেটার চাই। এমন কাউকে না জাকে আমি যা গিলিয়ে দিব তাই করবে। আমি চাই তারা যেন খেলাটা বোঝে এবং এ নিয়ে ভাবে। তাই যখন কোচ কাছে থাকবে না তখন তারা নিজেরাই কাজটা করতে পারবে। যখন তারা স্বাদ দাগ পেরিয়ে মাঠের মাঝে যাবে তারা যেন নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।'
দলে এমন কোনো খেলোয়াড় পেয়েছেন কিংবা কোনো বিশেষ খেলোয়াড় তার দৃষ্টি কেড়েছেন কি-না জানতে চাইলে অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি র্যাডফোর্ড। মাত্র দুই-তিন দিনের অনুশীলনে তরুণদের নিয়ে মন্তব্য করাটা অন্যায় বলে মনে করেন তিনি।
Comments