তুরস্ক-গ্রিসে ভূমিকম্প: নিহত বেড়ে ২৬, উদ্ধারকাজ চলছে
তুরস্ক ও গ্রিসে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ শনিবার সিএনএন’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল বিকেলে তুরস্কের পশ্চিম উপকূল ও গ্রিসের দ্বীপপুঞ্জে ভূমিকম্পের আঘাতের পর সৃষ্ট পরিস্থিতিকে ছোট আকারের সুনামিই বলছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ভূমিকম্পে তুরস্কের উপকূলীয় এলাকায় অন্তত ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর গ্রিসে প্রাণ হারিয়েছেন দুই জন তরুণ-তরুণী। একটি দেয়াল ধসে এই তরুণ-তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।
যদিও, তুরস্কের কর্তৃপক্ষ বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ছয় দশমিক ছয়; তবে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল সাত। ইউএসজিএস বলেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল গ্রিসের সামোস দ্বীপের নিয়ন কারলোভাসিয়ন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে।
তুরস্কের মেয়র টাংক সয়ার জানান, ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত ২০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের ধ্বংসস্তপের মধ্যে কেউ আটকে পড়েছে কি না, তা খোঁজা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে এখনো উদ্ধারকাজ চলছে।
তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে সেখানকার অন্তত ৮০৪ জন আহত হয়েছেন। ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তুপ থেকে কয়েক ডজন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। মূল ভূমিকম্পের পরেও মোট ১৯৬ বার মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। যার মধ্যে ২৩টির মাত্রা ছিল ৪’র বেশি।
ভূমিকম্পে গ্রিসেও কিছু পুরনো ভবন ধসে পড়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এর আগে, ১৯৯৯ সালে তুরস্কের ইজমিরে এক ভূমিকম্পে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
Comments