ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়

এ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে। ফলে, দেশটির কর্তৃপক্ষ দক্ষিণাঞ্চলের লুজন দ্বীপের প্রায় এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
গত সপ্তাহে ম্যানিলার দক্ষিণে মিনদোরো প্রদেশে আঘাত হানে মোলাভ। ছবি: সংগৃহীত

এ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে। ফলে, দেশটির কর্তৃপক্ষ দক্ষিণাঞ্চলের লুজন দ্বীপের প্রায় এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।

আজ শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।

দেশটির আবহাওয়া ও দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘূর্ণিঝড় গনি ঘণ্টায় টানা গতিবেগ থাকে ২১৫ কিলোমিটার বা ১৩৩ মাইল গতিবেগে আঘাত করতে পারে। এই গতিবেগ বেড়ে ঘণ্টায় ২৬৫ কিলোমিটার বা ১৬৪ মাইল হতে পারে।

রোববার ঘূর্ণিঝড় ফিলিপাইনে আঘাত হানতে পারে বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ২০১৩ সালে ফিলিপাইনে হাইয়ানের আঘাতে ৬ হাজার তিনশরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। গনি তারচেয়েও শক্তিশালী হতে পারে।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের শীর্ষ সহযোগী সিনেটর ক্রিস্টোফার গো বলেন, ‘কোভিড-১৯ নিয়ে আমরা কঠিন সময় পার করছি। এরমধ্যে আরও একটি দুর্যোগ আসছে।’

তিনি বলেন, এসব স্থানে যেন ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে তা স্থানীয় নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে।

জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিকার্ডো জালাদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আলবে প্রদেশের সাত লাখ ৯৪ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে স্থানের সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন কর্মকর্তারা।

তিনি আরও বলেন, রাজধানী ম্যানিলা এবং পাশের বুলকান প্রদেশে হোম আইসোলেশনে থাকা প্রায় এক হাজার করোনা রোগীকে হোটেল ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে।

ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনায় মৃত ও আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান আছে। দেশটিতে ৩৮০,৭২৯ জনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭,২২১ জন মারা গেছেন।

গত সপ্তাহে ম্যানিলার দক্ষিণ প্রদেশে মোলাভের আঘাতে ২২ জনের মৃত্যু হয়। একই পথে গনিও আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফিলিপাইনের অর্থনীতির দুই তৃতীয়াংশ আসে লুজনের মূল দ্বীপপুঞ্জ থেকে। যা দ্বিতীয় কোয়ার্টারে মন্দায় পড়ে এবং এখানের জনসংখ্যা ১০৮ মিলিয়নেরও বেশি। যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।

কুইজন প্রদেশের ইনফান্তা শহরের মেয়র ফিলিপিনো গ্রেস আমেরিকা ডিজেডবিবি রেডিওকে বলেন, ‘মূল অঞ্চলগুলোতে ইতোমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী, ভারী যন্ত্রপাতি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আমাদের পর্যাপ্ত তহবিল নেই।’

স্থানীয় কর্মকর্তারা, বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং জেলেদের মাছ শিকারে যেতে নিষিদ্ধ করেছে। একইসঙ্গে এয়ারলাইন্সের ডজনখানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় গনি প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ২৫ কিলোমিটার (১৫.৫ মাইল) পশ্চিমে দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রভাবে রোববার সকালের দিকে ফিলিপাইনের রাজধানী এবং আশেপাশের ২১টি প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা ও ভূমিধ্বসের কবলে পড়তে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago