৩ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
![Shahbag_1Nov20.jpg Shahbag_1Nov20.jpg](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/shahbag_1nov20.jpg?itok=8n2Ta-Xw×tamp=1604212480)
তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছে সাধারণ মেডিকেল এবং ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকাল ১০টায় তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।
তাদের তিন দফা দাবি হলো— করোনা মহামারিতে প্রফের বিকল্প দিতে হবে; অনতিবিলম্বে সেশনজট দূর করতে পরবর্তী ধাপের অনলাইন ক্লাস শুরু করতে হবে এবং পরীক্ষা ও ক্লাস সংক্রান্ত সব আদেশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করতে হবে।
![Shahbag1_1Nov20.jpg Shahbag1_1Nov20.jpg](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/news/images/shahbag1_1nov20.jpg?itok=V1aWwoM-×tamp=1604212566)
ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টার’র আলোকচিত্রী পলাশ খান জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০টার দিকে সাধারণ মেডিকেল এবং ডেন্টালের প্রায় চার শ শিক্ষার্থী শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। তারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবেন না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২৭ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের বৃত্তিমূলক পরীক্ষা নেওয়া হবে। করোনার কারণে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। সরকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে বিকল্প উদ্যোগ নিলেও আমাদের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আমাদের জন্য হুমকি।
তারা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে অবস্থান করা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। অনেক হলে আমরা একেক রুমে তিন থেকে চার জন বা তারও বেশি বসবাস করি। কমন বাথরুম ব্যবহার করতে হয়। একটি বেসিন ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী ব্যবহার করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে। করোনার কারণে আমরা ইতোমধ্যে অনেক কাছের মানুষকে হারিয়েছি।
অন্যদিকে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেশনজট দেখা দিয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোর ক্লাস ও হোস্টেল বন্ধ থাকলেও অতিরিক্ত বেতন পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষ চাপ প্রয়োগ করছে। দুঃখজনক বিষয় হলো আমাদের এসব সমস্যা নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বিষয়ে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিনের সঙ্গে কথা বলতে চাই— বলেন শিক্ষার্থীরা।
Comments