পায়েল হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

Payel.jpg
ছবি: সংগৃহীত

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সাইদুর রহমান পায়েল হত্যায় হানিফ এন্টারপ্রাইজের চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বাসের চালক জামাল হোসেন, তার সহকারী ফয়সাল হোসেন এবং সুপাভাইজার মো. জনি। এদের মধ্যে জামাল ও ফয়সাল সহোদর। আসামি তিন জনের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। গত ৪ অক্টোবর আদালত এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।

২০১৮ সালের ২২ জুলাই মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচে থেকে পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার আগের রাতে পায়েল তার বন্ধুর সঙ্গে হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। ২৪ জুলাই পায়েলের মামা গোলাম সোরওয়ার্দী বিপ্লব গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ৩ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মামুন আল রশিদ বাসের চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর মামলাটি প্রথমে চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এবং পরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

আসামিরা জবানবন্দিতে বলেন, গজারিয়া এলাকায় গাড়ি যানজটে পড়লে বাস থেকে নামেন পায়েল। বাস চলতে শুরু করলে তিনি দৌড়ে উঠতে গিয়ে দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে জ্ঞান হারান। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। ঝামেলা এড়াতে চালক ও সুপারভাইজার তাকে হাসপাতালে না নিয়ে ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে দিয়ে ঢাকায় চলে আসেন।

তবে পায়েলের স্বজনের অভিযোগ, সেতু থেকে ফেলে দেওয়ার আগে তারা পায়েলের মুখ থেঁতলে দিয়েছিল। পরিচয় গোপন করতে তারা এই কাজ করতে পারে। সাইদুর রহমান পায়েলের বাড়ি চট্টগ্রামের হালিশহর সিডিএ আবাসিক এলাকায়। ভাতিজা হওয়ার খবরে তিনি চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Wrap up polls preparations by December

Chief Adviser Muhammad Yunus yesterday instructed all relevant authorities to complete preparations by December for the upcoming national election.

1h ago