নিসের পর ভিয়েনায় হামলা, বন্দুকধারীসহ নিহত ৩

ফ্রান্সের নিস শহরে এক গির্জার কাছে সন্ত্রাসী হামলার পর এবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এক সিনাগগের (ইহুদিদের প্রার্থণাস্থল) বাইরে হামলা চালালো বন্দুকধারীরা।
Vienna attack
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এক সিনাগগের বাইরে হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। ছবি: এএফপি

ফ্রান্সের নিস শহরে এক গির্জার কাছে সন্ত্রাসী হামলার পর এবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এক সিনাগগের (ইহুদিদের প্রার্থণাস্থল) বাইরে হামলা চালালো বন্দুকধারীরা।

হামলায় বন্দুকধারীসহ তিন জন নিহত হয়েছেন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়।

হামলারকারীদের একজনকে ‘ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহামের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘হামলাকারী আইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল। তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ভিডিও জব্দ করা হয়েছে।’

তিনি জনগণকে হামলাস্থলটি এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বাচ্চাদের স্কুলে আজ না পাঠানোর জন্যে অভিভাবকদের অনুরোধ করেছেন।

এর আগে ভিয়েনার মেয়র মিশেল লুদভিগ দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম ওআরএফ’কে বলেন, হামলায় আহত এক নারী আজ ভোরে মারা গেছেন। এছাড়াও পুলিশের গুলিতে এক সন্দেহভাজন বন্দুকধারী নিহত হয়েছেন।

এক বন্দুকধারী পলাতক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মেয়র আরও জানান, এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায় গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় হামলা শুরু হয়। কয়েকজন বন্দুকধারী নগরীর প্রধান সিনাগগের বাইরে গুলি চালায়।

স্থানীয় ইহুদি নেতা অস্কার ডয়েচ এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘রাত ৮টায় যখন গুলি শুরু হয়, তখন সিনাগগ বন্ধ ছিল।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ক্রোনেন জেতুং জানায়, হামলায় আহতদের মধ্যে সিনাগগের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তাও রয়েছেন।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলাকারীদের সংখ্যা ঠিক কতো তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে অস্ট্রিয়ান গণমাধ্যম জানায়, একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ‘ছয়টি পৃথক স্থানে’ গুলি চালানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago