মুম্বাইয়ের সঙ্গে কলকাতাকেও উড়িয়ে প্লে অফে সানরাইজার্স

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জন্য ম্যাচটা ছিল নিয়মরক্ষার। টেবিলের শীর্ষ থেকে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হয়েছে তাদের আগেই। হারলেও ক্ষতির কিছু ছিল না। তবে তাদের জয়ের উপর নির্ভর করছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভাগ্য। তা হতে দেননি ডেভিড ওয়ার্নাররা। জিততেই হবে, এমন সমীকরণে মুম্বাইকে উড়িয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
মঙ্গলবার শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটা ছিল একপেশে। ছোট মাঠে আগে ব্যাট করে মুম্বাই জড়ো করে কেবল ১৪৯ রান। দেড়শো রানের লক্ষ্য নেমে দুই ওপেনার ওয়ার্নার আর ঋদ্ধিমান সাহাই ১৭ বল বাকি থাকতে শেষ করে দেন খেলা।
৩৫ বলে ফিফটি পূরণ করা অধিনায়ক ওয়ার্নার দলকে ১০ উইকেটের জয় পাইয়ে দিয়ে অপরাজিত ছিলেন ৫৮ বলে ৮৫ রানে, এবারের আইপিএলে শুরুর দিকে সুযোগ না পাওয়া ঋদ্ধিমান আরও একবার দেখান তার সামর্থ্য। ৩৪ বলে ফিফটি করা এই কিপার ব্যাটসম্যান ৪৫ বলে ৫৮ করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
দুজনে মিলে কোন সুযোগই দেননি মুম্বাইর বোলারদের।
৫ নভেম্বর প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুম্বাই ইন্ডিয়ানের প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালস। পরদিন এলিমিনেটর ম্যাচে সানরাইজার্স খেলবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচের পরাজিত দলের সঙ্গে এলিমিনেটর জয়ীরা ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নামবে ৮ নভেম্বর।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে মুম্বাইকে ব্যাট করতে দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। তার সিদ্ধান্ত কাজে লাগিয়েছেন বোলাররা। ধোঁয়াশাচ্ছন্ন চোট কাটিয়ে এই ম্যাচে ফিরেছিলেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু প্রথমেই তাকে কাবু করেন সন্দীপ শর্মা। কুইন্টেন ডি কক শুরুর ঝড় তুলে থিতু হয়েছিলেন। নিচ্ছিলেন বিপদজনক রূপ। ১৩ বলে ২৫ রান করা ডি কককেও ফেরান সন্দীপ।
ছন্দে থাকা সূর্যকুমার যাদব ফের দিচ্ছিলেন জ্বলে উঠার আভাস। শাহবাজ নাদীমের বাঁহাতি স্পিন এগুতে দেয়নি তাকেও। শেষ দিকে কাইরন পোলার্ড ২৫ বলে ৪১ করলে লড়াইয়ের পূঁজি আসে মুম্বাইর। দারুণ বল করেছেন জেসন হোল্ডার। ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। নাদীমের ৪ ওভার থেকে কেবল ১৯ রান নিতে পারে মুম্বাই, হারায় ২ উইকেট। রশিদ খান ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে পান ১ উইকেট। সন্দীপ ধারাবাহিকতা রেখে ৩৪ রানে পান ৪ উইকেট।
বোলারদের এমন সম্মিলিত সাফল্যই সানরাইজার্সের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ করে দেয়।
Comments