তোরেস-জেসুসের লক্ষ্যভেদ, ম্যান সিটির তিনে তিন
দাপট দেখিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল ফেরান তোরেসের গোলে। বিরতির পরও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে ইংলিশ ক্লাবটি। প্রতিপক্ষ অলিম্পিয়াকোসের রক্ষণে ভীতি সঞ্চারের ফল তারা পায় একেবারে শেষ দিকে। জালের ঠিকানা খুঁজে নেন দুই বদলি গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও জোয়াও ক্যানসেলো। তাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা তৃতীয় জয়ের দেখা পেল পেপ গার্দিওলার দল।
মঙ্গলবার রাতে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে ম্যান সিটি। ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে গ্রিসের অলিম্পিয়াকোসকে তারা উড়িয়ে দিয়েছে ৩-০ গোলে।
বল দখলে এগিয়ে থাকা স্বাগতিকরা পুরো ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে খেলেছে। তারা মোট ২০টি শট নেয়। যার সাতটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, অলিম্পিয়াকোস পাল্টা আক্রমণে হাতেগোনা কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও সফল হয়নি। তারা নেয় ছয়টি শট। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল কেবল একটি।
আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে ম্যাচের প্রথম ছয় মিনিটের মধ্যে তিনটি কর্নার আদায় করে নেয় সিটি। সপ্তম মিনিটে প্রথম সুযোগটি পায় তারা। সতীর্থের কর্নারে তোরেসের হেড অবশ্য লক্ষ্যে থাকেনি। দশম মিনিটে কেভিন ডে ব্রুইনকে অচলাবস্থা ভাঙতে দেননি অতিথি গোলরক্ষক জোসে সা।
দুই মিনিট পরই গোল পেয়ে যায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ওঠানামার মধ্য দিয়ে যাওয়া সিটি। ডি ব্রুইনের সঙ্গে বল আদান-প্রদান করে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তোরেস। এরপর সার দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠান এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধে এরপর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আক্রমণ করলেও ব্যবধান বাড়ানো হয়নি সিটির। গোলরক্ষক সা বেশ কয়েকটি ক্রস রুখে দেন। আর ৩২তম মিনিটে ইংলিশ ফরোয়ার্ড রহিম স্টার্লিং বল জালে জড়ালেও তিনি ছিলেন অফসাইডে।
৫৪তম মিনিটে সিটির মিডফিল্ডার ফিল ফোডেনের ভুলে বল পেয়ে গিয়েছিলেন ম্যাথিউ ভালবুয়েনা। কিন্তু ডি-বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি। ফলে সমতায় ফেরা হয়নি সফরকারীদের। সাত মিনিট পর ইউসুফ এল-আরাবির শট ফিরিয়ে দেন সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদারসন।
অলিম্পিয়াকোসের চাপ সামলে নিয়ে ৮১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যান সিটি। ডি ব্রুইনের পাসে জোরালো শটে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সেলেসাও স্ট্রাইকার জেসুস। নয় মিনিট পর দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার ক্যানসেলো। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের শটে জাল কাঁপান তিনি।
আগের দুই ম্যাচে এফসি পোর্তোকে ৩-১ ও অলিম্পিক মার্সেইকে ৩-০ গোলে হারানো সিটিজেনদের অর্জন তিন ম্যাচে পূর্ণ নয় পয়েন্ট। তারা আছে গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রয়েছে পোর্তো। গ্রুপের অন্য ম্যাচে পর্তুগালের ক্লাবটি ৩-০ গোলে হারিয়েছে মার্সেইকে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে অম্পিয়াকোসের অবস্থান তিনে। পয়েন্টশূন্য ফ্রান্সের মার্সেই আছে গ্রুপের তলানিতে।
Comments