চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের ইতিহাস
ম্যাচের ৭৮ মিনিট পেরিয়ে গেল। স্কোরলাইন ২-২। চলতি মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কায় তখন বায়ার্ন মিউনিখ। কিন্তু সালজবুর্গের বাধার দেয়াল এরপরই ধসে পড়ল। সোজা করে বললে, অস্ট্রিয়ান ক্লাবটিকে চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলল জার্মান পরাশক্তিরা। শেষ ১৫ মিনিটের চার গোলে বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পাশাপাশি প্রতিযোগিতার শিরোপাধারীরা গড়ল নতুন কীর্তিও।
মঙ্গলবার রাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে সালজবুর্গের মাঠে ৬-২ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল। জোড়া গোল করেন তারকা পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডভস্কি। একবার করে লক্ষ্যভেদ করেন জেরোম বোয়াটেং, লেরয় সানে ও লুকাস হার্নান্দেজ। বাকি গোলটি আত্মঘাতী। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন রাসমুস ক্রিস্টেনসেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিটের মধ্যে চারবার বল জালে পাঠানোর নজির ছিল না এতদিন। সালজবুর্গকে গুঁড়িয়ে তা করে দেখাল বায়ার্ন। আর টানা তিন জয়ে নক-আউট পর্বে নাম লেখানোর বন্দোবস্তও প্রায় পাকা করে ফেলল তারা।
মেরগিম বেরিশার আচমকা গোলে চতুর্থ মিনিটে পিছিয়ে পড়া বায়ার্নকে ২১তম মিনিটে সমতায় ফেরান লেভানডভস্কি। সফল স্পট-কিক থেকে নিশানা ভেদ করেন তিনি। বিরতির ঠিক আগে আগে ক্রিস্টেনসেনের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ঠাসা ম্যাচে ৬৬তম মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান মাসাইয়া ওকুগাওয়া। এরপর বেশ কিছুটা সময় স্কোরলাইন থাকে একই। তবে ৭৯ থেকে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিট, এই শেষ ১৩ মিনিটের গোল উৎসবে বড় জয় নিশ্চিত করে বায়ার্ন।
অভিজ্ঞ জার্মান ডিফেন্ডার বোয়াটেংয়ের হেডে ফের লিড নেয় সফরকারীরা। চার মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান তার স্বদেশি ফরোয়ার্ড সানে। পাঁচ মিনিট না যেতেই ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান লেভানডভস্কি। আর ৯২তম মিনিটে স্কোরলাইন ৬-২ করেন ফরাসি ডিফেন্ডার হার্নান্দেজ।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে লোকোমোতিভ মস্কোর মাঠে ১-১ ড্র করেছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।
তিন ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে আছে বায়ার্ন। ৪ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাতলেতিকোর অবস্থান দুইয়ে। তিনে থাকা লোকোমোতিভের পয়েন্ট ২। সবার নিচের দল সালজবুর্গের অর্জন ১ পয়েন্ট।
Comments