৯ বছর পর ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনের তফশিল
দীর্ঘ নয় বছর পর ফরিদপুর পৌরসভার (সদর) তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফরিদপুরের মধুখালী পৌরসভারও।
গত ৩ নভেম্বর বিকেলে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৫ নভেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১৭ নভেম্বর আর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ নভেম্বর।
শতবর্ষী ফরিদপুর পৌরসভা স্থাপিত হয় ১৮৬৯ সালে। ফরিদপুর পৌরসভায় বর্ধিত এলাকার সমন্বয়ে ৬৬ দশমিক ৫৪ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বর্তমানে ২৭টি ওয়ার্ড আছে। ২০১৯ সালের হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এখানে ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ হাজার ৭৮৬ এবং নারী ৭৬ হাজার ৫৭১ জন।
সর্বশেষ ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফরিদপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরশেন ঘোষণা করা হবে এমন একটি উদ্যোগের কারণে ২০১৬ সালে ফরিদপুর পৌরসভার নির্ধারিত নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
অন্যদিকে, ফরিদপুরের মধুখালী পৌরসভা গঠিত হয় ১৯১২ সালে ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত মধুখালী পৌরসভার ভোটারের সংখ্যা ১৯ হাজার ৯৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৯০২ জন এবং নারী ১০ হাজার ৮৮ জন। মধুখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে। তিনিই এ পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে এলাকায়। বিশেষ করে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ফরিদপুর পৌরসভায় দীর্ঘদিন পর নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হওয়ায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটারদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ বিরাজ করছে। এ নির্বাচনে শুধুমাত্র মেয়র পদেই রাজনৈতিক দলের প্রার্থী দেওয়া যাবে। কাউন্সিলর পদে সকলে স্বতন্ত্রভাবেই নির্বাচন করবেন।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ১১ জন নেতা দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। মধুখালীতে আওয়ামী লীগের তিনজন দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছ।
ফরিদপুরে বিএনপির দুই নেতা দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানায় বিএনপি সূত্র। তবে এ সংখ্যা আগামীতে আরও বাড়বে বলে ধারণা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের।
Comments