১ সপ্তাহ অন্ধকারে হাতিয়া
নোয়াখালীর বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া এক সপ্তাহ ধরে অন্ধকারে রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই হাজার তিন শ গ্রাহক। ব্যাহত হচ্ছে জরুরি সেবা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবহেলার কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হাতিয়া পৌর এলাকার ওছখালী বাজারের ব্যবসায়ী উত্তর সাহা, সাহেদ উদ্দিন ও রিয়াদ উদ্দিন বলেন, গড়ে প্রতিদিন দুই ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না।
গৃহবধূ জাহেদা বেগম মেরী বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজের মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ না থাকায় গত পাঁচ দিন ধরে বন্ধ আছে জরুরি অস্ত্রোপচার। হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, তীব্র লোড শেডিং হচ্ছে। আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট পর পর বিদ্যুৎ চলে যায়, কয়েক ঘণ্টা পরে আসে। চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ড হাতিয়া উপজেলা কার্যালয়ের আবাসিক প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হাতিয়া উপজেলার পৌর এলাকায় দুই হাজার তিন শ গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ছয় শ জন আবাসিক ও সাত শ জন বাণিজ্যিক গ্রাহক। তিনটি জেনারেটরের মাধ্যমে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করা হয়। গত ৩০ অক্টোবর বড় দুটি জেনারেটর বিকল হয়ে যাওয়ায় এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল জেনারেটরগুলো মেরামতে কাজ শুরু হবে। শেষ হতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে।
Comments