‘নির্বাচনের ফল যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে তেমন কোনো পরিবর্তন আনবে না’

US China relations
ছবি: এএফপি ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক কোন পথে রয়েছে তা পরিষ্কার। বেইজিংয়ের সঙ্গে একটি প্রতিকূল সম্পর্ক বজায় রাখছে ওয়াশিংটন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে যিনিই হোয়াইট হাউসে আসুন না কেনো দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য-আলোচনা চলমান থাকবে।

এমন মন্তব্য করেছে চীনে সফররত মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল।

আজ বৃহস্পতিবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান গ্রেগ গিলিগ্যান এক সাক্ষাৎকারে সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করছে দেশ দুটির মধ্যে সামগ্রিক সম্পর্ক কেমন হবে। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের ফল কী হলো সেটি কোনো বিষয় না।

‘দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগই দেশ দুটির সম্পর্কের মূল বিষয়,’ বলে মনে করেন তিনি।

বিবাদমান দেশ দুটির মধ্যে গত জানুয়ারিতে সই করা বাণিজ্য চুক্তির ওপরও আলোকপাত করেন গিলিগ্যান।

তিনি বলেন, বেইজিং ও ওয়াশিংটনে বাণিজ্য কর্মকর্তারা ‘খুবই গুরুত্ব ও আন্তরিকতার’ সঙ্গে স্বাক্ষরিত বাণিজ্যচুক্তির প্রথম ধাপ নিয়ে কাজ করছেন। তারা ‘নিয়ম করে’ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তারা ‘প্রতি মাসেই আলোচনা করছেন’ বলেও জানান এই মর্কিন ব্যবসায়ী নেতা।

তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তির প্রথম ধাপটি নিয়ে ভালোভাবে এগোনো প্রয়োজন। যাতে দুই পক্ষই এটি গ্রহণ করতে পারে। দুই পক্ষই যাতে নিজেদের বিজয়ী দাবি করতে পারে। এরপর চুক্তির পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

তিনি জানান, পরবর্তী ধাপগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের ভর্তুকি, মেধাস্বত্ত্ব, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও বাজারে প্রবেশের মতো বিষয়গুলো।

‘যদিও এই ধাপগুলো নিয়ে আলোচনা করা একটি জটিল কাজ, তবে আমরা যদি প্রথম ধাপটি নিয়ে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে,’ যোগ করেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান।

Comments

The Daily Star  | English

Police grapple with surge in crime

Data from the Police Headquarters presents a grim picture of violent crimes, including murder, mugging, robbery, extortion, and mob violence, in the first six months of 2025.

17h ago