ফরিদপুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার ২
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এক কিশোরীকে (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সালথা থানায় তিন কিশোরের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
পরে গতকাল রাতে এজাহারভুক্ত তিন আসামির মধ্যে দুই আসামি ১৪ ও ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোরকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের জগন্নাথদী গ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরীকে বাজে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ওই তিন কিশোর। কিন্তু, এ প্রস্তাবে রাজি হয়নি ওই কিশোরী। গত ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে নিজ গ্রাম জগন্নাথদীর মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যায় ভুক্তভোগীর দুই ভাই। এ সময় ভাইদের কাছে যেতে বাড়ি থেকে রওনা হলে পথে ওই কিশোরীকে ধরে নিয়ে একটি স্যালোমেশিনের ছাপড়া ঘরের ভিতর সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ওই তিন কিশোর। এ সময় তারা ধর্ষণের ভিডিও চিত্রও ধারণ করে। বিষয়টি কাউকে বললে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায় আসামিরা। ভয়ে মেয়েটি প্রথম দিকে তার পরিবারের কাছে কিছু জানায়নি।
২-৩ দিন আগে এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় মাতব্বররা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে বুধবার রাতে সালথা থানায় গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ভিডিও চিত্র ধারণকৃত মোবাইলটিও জব্দ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া দুই কিশোরকে জেলার মুখ্য বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। জব্দ করা মুঠোফোনটি পরীক্ষার জন্য ঢাকার সিআইডির তদন্ত সেলে পাঠানো হবে।’
Comments