করোনায় আরও সজীব সুন্দরবন, বন্যপ্রাণীর দেখা কম
চলমান করোনা মহামারির কারণে সাত মাস বন্ধ রাখার পর সবার জন্যে সুন্দরবন খুলে দেওয়া হয় গত ১ নভেম্বর।দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সুন্দরবনের কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে তা দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলাম। দ ১ নভেম্বর বিকেলে খুলনা থেকে রওনা দিলাম সুন্দরবনের উদ্দেশে।
ঠিক এক বছর আগে, ২০১৯ সালের নভেম্বর সুন্দরবনে গিয়েছিলাম। এক বছরের ব্যবধানে বনের বেশ কিছু পার্থক্যবেশ স্পষ্টভাবেই চোখে পড়ল।
আগের তুলনায় বন অনেক সজীব ও ঘন বলে মনে হলো।নতুন সবুজ পাতার চাদরে ঢাকা সুন্দরবনের এ দৃশ্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। তবে হতাশ হতে হলো বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি কম দেখে।
সাধারণত সুন্দরবনের খালগুলোয় বেশ কয়েক রকমের মাছরাঙা ও অনেক প্রজাতির পাখি দেখা যায়। গত কয়েকবছরের তুলনায় এবার পাখির উপস্থিত ছিল অনেক কম
বন্যপ্রাণীর উপস্থিতিও বেশ কম দেখা গেল। সাধারণত কটকায় অনেক হরিণ দেখা যায়। এবার তাদের উপস্থিতিও অনেক কম। ভোদর, বন্য শুকর ও বানরের দেখা পেলেও তা গতবারের তুলনায় অনেক কম ছিল।
খালগুলোতে সাধারণত অনেক ধরনের সাপ দেখা যায়। কিন্তু, এবার শুধু কিং কোবরার দেখা পেলাম।
করোনাকালে সামুদ্রিক ঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে কটকার বনবিভাগের অফিস চত্বরে বেশ কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়েথাকতে দেখলাম। পুরোনো জেটিটিও আর নেই। এর খানিক দূরেই নতুন জেটি করা হয়েছে।
কটকার ওয়াচ টাওয়ারে যাওয়ার কাঁচা রাস্তাটি পাকা করাহয়েছে। বন্যপ্রাণীর অবাধ চলাচলের জন্য এটি সমস্যা সৃষ্টিপারে বলে মনে হলো।
তবে, সুন্দরবনের খালগুলোয় মাছের সংখ্যা অন্যান্য সময়েরতুলনায় বেশি মনে হয়েছে।
সব মিলিয়ে দীর্ঘ বন্দিদশা শেষে সুন্দরবনের সজীবতায়প্রশান্তি পেলেও বন্যপ্রাণীর অনুপস্থিতি বেশ ভাবাচ্ছে। এ বিষয়ে সেখানে বন বিভাগের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে কোনো সন্তোষজনক উত্তর পাইনি।
সাদ আব্দুল্লাহ, শিক্ষানবিশ আলোকচিত্রী
Comments