উইলিয়ামসনের মিস হওয়া ক্যাচ নিয়ে কোহলির আফসোস

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন থিতু হয়ে যাওয়া কেইন উইলিয়ামসন। ডিপ স্কয়ারের সীমানায় সম্ভাবনা জাগিয়েও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি দেবদূত পাদিক্কাল। জীবন পেয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে জিতিয়ে নিউজিল্যান্ড দলনেতা হন ম্যাচসেরা। একইসঙ্গে তিনি নিশ্চিত করেন আইপিএল থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিদায়। ম্যাচ শেষে দলটির অধিনায়ক বিরাট কোহলির কণ্ঠে তাই ঝরেছে উইলিয়ামসনের ক্যাচ নিতে না পারার খেদ।
শুক্রবার রাতে আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে ২ বল হাতে রেখে বেঙ্গালুরুকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে হায়দরাবাদ। আগামীকাল রবিবার আসরের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তারা মুখোমুখি হবে দিল্লি ক্যাপিটালসের।
১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এক পর্যায়ে ১৭ বলে ২৭ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। ৩৫ বলে ৩৭ রানে ব্যাট করছিলেন উইলিয়ামসন। ডেভিড ওয়ার্নার, মনিশ পাণ্ডেরা সাজঘরে ফিরে যাওয়ায় চোটজর্জর দলটির আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে উইকেটে ছিলেন তিনি। সেসময় নবদ্বীপ সাইনির ফুল টস ডেলিভারি ফ্লিক করেন উইলিয়ামসন। আবুধাবির বড় মাঠ হওয়ায় সীমানা ছাড়াতে পারেননি। বাউন্ডারি লাইনের ঠিক সামনে দুই হাতে বল লুফে নেওয়ার পর পাদিক্কাল বুঝতে পারেন যে, তার পা চলে যাচ্ছে বাইরে। তাই বল মাঠের ভেতরে শূন্যে ছুঁড়ে আবার ধরার চিন্তা খেলে যায় তার মাথায়। কিন্তু শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারায় ঠিক সময়ে ফিরতে পারেননি।

নিজের উইকেট খোয়ানোর বদলে ওই বল থেকে ১ রান পান তারকা ডানহাতি ব্যাটসম্যান উইলিয়ামসন। শেষ পর্যন্ত তিনি মাঠ ছাড়েন অপরাজিত থেকে। তার ৪৪ বলে ৫০ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল সমান দুটি করে চার ও ছক্কায়।
সুযোগ কঠিন ছিল, তবে বর্তমান সময়ের ক্রিকেটে এমন ক্যাচ হরহামেশা নিয়ে থাকেন ফিল্ডাররা। তাই ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আফসোস গোপন করেননি কোহলি, ‘এটা (ক্রিকেট) সূক্ষ্ম ব্যবধানের খেলা। যদি কেইনের ক্যাচটা তখন নেওয়া যেত, তখন খেলার চেহারা অন্যরকম হতো।’

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে হায়দরাবাদকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে পারেনি বেঙ্গালুরু। পুরো ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেটে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৩১ রান তোলে তারা। এবি ডি ভিলিয়ার্সের ৪৩ বলে ৫৬ ও অ্যারন ফিঞ্চের ৩০ বলে ৩২ রানের বাইরে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল নয়ে নামা মোহাম্মদ সিরাজ। পরে রান তাড়ায় হায়দরাবাদও শুরুতে ভুগেছে। ১২তম ওভারে ৬৭ রানের মধ্যে তারা হারায় ৪ উইকেট। চাপ সামলে নিয়ে ওই পরিস্থিতি থেকে দলকে উদ্ধার করেন উইলিয়ামসন।
যথেষ্ট রান জমা করতে না পারার আক্ষেপও জানিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক কোহলি, ‘যদি প্রথম ইনিংসের কথা বলেন, তাহলে আমি বলব, আমার মনে হয় না, আমরা পর্যাপ্ত রান তুলতে পেরেছি। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আমরা যে অবস্থানে চলে গিয়েছিলাম, তা আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগানোর কারণেই সম্ভব হয়েছিল।’
Comments