বগুড়ায় অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ নব্য জেএমবি’র ৪ সদস্য আটক
বগুড়ার চন্দিহারা এলাকা থেকে নব্য জেএমবি’র চার সদস্যকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি দল। আজ শনিবার সকালে বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী অঞ্চলের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা নিজেদের নব্য জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণের জন্য তারা বগুড়ায় একত্রিত হয়েছিলেন। আজ রাত দেড়টার দিকে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি ৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, একটি দেশি তৈরি ওয়ান শুটার গান, দুটি কার্তুজ, তিনটি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু, একটি চাপাতি, এক কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য (পটাশিয়াম ক্লোরেট), দুটি লাল টেপ, চারটি ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে।’
আব্দুল বাতেন বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক দিয়ে ৫০টির মতো উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বোমা বানানো সম্ভব।’
আটক ব্যক্তিরা হলেন— সংগঠনের আইটি শাখার সদস্য মো. তানভীর আহম্মেদ ওরফে আবু ইব্রাহিম (২৫), মিডিয়া শাখার প্রধান মো. জাকারিয়া জামিল (৩১), সদস্য মো. আতিকুর রহমান (২৮) ও মো. আবু সাঈদ (৩২)।
তানভীর গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর তরশ্রীরামপুরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি ঢাকায় দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় বসবাস করতেন। জাকারিয়া টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর জগতপোড়া এলাকার খন্দকার গোলাম সারোয়ারে ছেলে। তিনি ঢাকায় পশ্চিম পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায় থাকতেন। আতিকুর রহমান ময়মনসিংহের চকশ্যামরামপুর এলাকার মো. আব্দুর রহমানের ছেলে এবং আবু সাঈদ একই এলাকার মো. আব্দুল হাকিমের ছেলে।
আব্দুল বাতেন আরও বলেন, তানভীর আহম্মেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের ছাত্র। তিনি ২০১৭ সালে নব্য জেএমবিতে যোগ দেন বলে জানিয়েছেন। চলতি বছরের শুরুতে আশুলিয়ায় তানভীরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক জঙ্গি পুস্তক, ইলেকট্রনিক ও ড্রোন তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যায়। সে সময় তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় ১৪ জানুয়ারি আশুলিয়া থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় (মামলা নং- ৩৫) তানভীরকে আসামি করা হয়।
মো. জাকারিয়া জামিলের কাজ ছিল অনলাইনে প্রকাশিত বিভিন্ন জঙ্গি কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত প্রকাশনা আরবি ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করে প্রচার করা। জামিলও আশুলিয়া থানার ওই মামলার পলাতক আসামি। নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র মো. আতিকুর রহমান অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। মো. আবু সাঈদ যুদ্ধ করার জন্য মধ্যপ্রাচ্য যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। চার জনের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইনের পৃথক পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে— বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
Comments