৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে থানায় জমা দেয়নি বিজিবি

yaba
মাদক ইয়াবা। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের করবুনিয়া এলাকা থেকে গত ৫ নভেম্বর ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি-৩৪) একটি টহল দল।

তবে উদ্ধার হওয়া ইয়াবাগুলো থানায় জমা না দিয়ে নিজেদের কাছে রেখে দেওয়ার কথা দ্য ডেইলি স্টারের কাছে স্বীকার করেছেন ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।

মাদক উদ্ধারের পরে কেন মামলা করা হলো না? জানতে চাইলে বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামি না থাকলে মামলা হয় না।’

তিনি বলেন, ‘ইয়াবাগুলো আমাদের নিজস্ব হেফাজতে রাখা হয় এবং পরবর্তীতে মোটামুটি একটি এমাউন্ট জমা হলে, সেগুলো গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিচারক, পুলিশ সবার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়।’

এর আগে, গত ২৪ অক্টোবর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলি বিওপির লম্বাঘোনা এলাকা থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি-১১) একটি টহল দল।

সেসময় ১০ হাজার পিস ইয়াবার মধ্যে এক হাজার পিস জমা দিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় বিজিবি একটি মামলা দায়ের করেছিল বলে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন

বিষয়টি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওসি মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে আদালত দ্য ডেইলি স্টারের রেফারেন্স দিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের পর এক হাজার পিস জমা দিয়ে বিজিবির মামলা করার বিষয়ে আমার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।’

ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আগামী ২৬ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ওসি বলেন, ‘৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের পরও বিজিবি সেগুলো থানায় জমা দেয়নি। যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থা মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পর তা নিজের কাছে রেখে দেওয়া অবৈধ।’

এ বিষয়ে বিজিবির অধিনায়ক আলি হায়দার বলেন, ‘বৈধ কি অবৈধ, আমি আসলে এই ব্যাপারে আপনাকে সরাসরি কিছু বলতে পারব না। তবে এটি বিজিবির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য, যেটি বিজিবি প্র্যাকটিস করে আসছে।’

আরও পড়ুন:

১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে ১ হাজার জমা দিয়ে মামলা

Comments

The Daily Star  | English
Apparel Buyers Delay Price Increases Post-Wage Hike Promise

Garment exports to US grow 17%

Bangladesh shipped apparels worth $5.74 billion in the July-March period to the USA

5h ago