আইনি লড়াইয়ের অর্থ সংগ্রহ করছেন ট্রাম্প, পরাজয় মানবেন না

শনিবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের বিজয়ের ঘোষণার পর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, শিগগিরই তাদের পরাজয় মেনে নেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

শনিবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের বিজয়ের ঘোষণার পর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, শিগগিরই তাদের পরাজয় মেনে নেওয়ার সম্ভাবনা নেই

আজ রোববার রয়টার্স জানায়, নির্বাচনকে ঘিরে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে ৬০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করছেন রিপাবলিকানরা।

কয়েক মাস ধরেই নির্বাচনে জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের কথা বলে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগেও তিনি একাধিকবার শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। শনিবার তিনি আবারও আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

তবে, ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় আইনি লড়াইয়ে যাবেন এ নিয়ে ট্রাম্পের সহযোগী ও রিপাবলিকান বন্ধুদের মধ্যে কিছুটা দ্বন্দ্ব থাকলেও অধিকাংশই আইনি লড়াইয়ের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন কিংবা নীরব থেকেছেন।

শনিবার বাইডেনকে জয়ী ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘খুব সহজ ব্যাপার হলো নির্বাচন শেষ হতে এখনো অনেক দেরি। জো বাইডেন কোনো রাজ্যের বিজয়ী হিসেবে সনদ পাননি। অনেক রাজ্যে বাধ্যতামূলক ভোট পুনর্গণনা হবে।’

প্রেসিডেন্টের সহযোগী ও উপদেষ্টারা জানান, ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার ও হোয়াইট হাউজে থাকার সম্ভাবনা খুব কম।

হোয়াইট হাউজ ছাড়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আইনি প্রক্রিয়া চলতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্পের সহযোগীরা।

এক উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) যদি আবারও ভোট গণনা করতে চান, তবে সেটা মেনে নেওয়া উচিৎ। তার যেসব দাবি আছে সেগুলো আমলে নিতে হবে এবং এরপরেও কোনো পরিবর্তন না হলে, তার উচিৎ হবে ফলাফল মেনে নেওয়া।’

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবির ও রিপাবলিকানরা নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে অসংখ্য মামলা করেছে। জর্জিয়া, মিশিগান এবং নেভাদায় এসব মামলা নিয়ে কাজ করছেন বিচারকরা।

পেনসিলভেনিয়ায় বিচারকরা রিপাবলিকানদের দাবির পক্ষে আদেশ দিয়েছেন। তারা কয়েকটি অস্থায়ী ব্যালটকে আলাদা করে রাখার আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও, রিপাবলিকান পর্যবেক্ষকদের ভোট গণনার সময় পর্যবেক্ষণের জন্য আরও বেশি সুযোগ দিয়েছেন।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের আইনি চ্যালেঞ্জগুলো নির্বাচনের ফলাফলের ওপর খুব কমই প্রভাব ফেলতে পারবে।

এদিকে, জালিয়াতির অভিযোগে কোনো কোনো রাজ্যে ভোট গণনা বন্ধ রাখার দাবিও জানান ট্রাম্প।

এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউজের এক সাবেক কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রাম্পের উচিৎ প্রতিটি ভোট গণনার পক্ষে থাকা ও নির্বাচনে স্বচ্ছতা দাবি করা। এটাই তাকে একটি শক্ত গণতান্ত্রিক ভিত্তি দেবে।’

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago