বান্দরবানের পাহাড়ে সিকদার গ্রুপের হোটেল-পর্যটন কেন্দ্র, পাহাড়িদের বিক্ষোভ

বান্দরবানে চিম্বুক পাহাড়ে বসবাসরত ম্রো জনগোষ্ঠী পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ ও পর্যটনের নামে তাদের প্রাচীন জুম ভূমি কেড়ে না নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
Bandarban-1.jpg
পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ ও পর্যটনের নামে প্রাচীন জুম ভূমি কেড়ে না নেওয়ার দাবি জানিয়েছে পাহাড়িরা। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে চিম্বুক পাহাড়ে বসবাসরত ম্রো জনগোষ্ঠী পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ ও পর্যটনের নামে তাদের প্রাচীন জুম ভূমি কেড়ে না নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

আজ রোববার সকালে কাপ্রু পাড়া বাজার এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন পাড়ায় বসবাসরত প্রায় এক হাজার ম্রো জনগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়।

একটি কল্যাণ সংস্থা ও সিকদার গ্রুপ কাপ্রু পাড়া থেকে নাইতং পাহাড় হয়ে জীবন নগর পর্যন্ত পাঁচ তারকা হোটেল এবং পর্যটন স্পট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা যায়। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান পাহাড়িরা।

এই স্থাপনা নির্মাণে সিকদার গ্রুপ প্রায় এক হাজার একর জুমের জমি দখলের চেষ্টা করছে, অভিযোগ করেন প্রতিবাদকারীরা।

তারা জানান, জুম ভূমি ছাড়াও সেখানে রয়েছে ম্রোদের বসতভিটা ও শ্মশান।

সিকদার গ্রুপের এই হোটেল নাইতং পাহাড়ে নির্মাণ হলে প্রত্যক্ষভাবে ম্রোদের চারটি পাড়া এবং পরোক্ষভাবে ৭০-১১৬টি পাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।

পাঁচ তারকা এই হোটেল নির্মাণ হলে প্রায় ১০ হাজার জুমচাষি উদ্বাস্তু হওয়ার ঝুঁকিতে পরবেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত ম্রোরা অবিলম্বে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে পাঁচ তারকা হোটেলসহ নাইতং পাহাড়ে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগকে স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে সিকদার গ্রুপের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফরিদ উদ্দিন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে আমরা কারও জায়গা দখল করিনি। আমরা বান্দরবান জেলা পরিষদকে আট শতাংশ শেয়ার দিয়ে জায়গাটি লিজ নিয়ে সেখানে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ করছি।’

তবে বান্দরবান জেলা পরিষদের কানুনগো মং শৈচিং চাক বলেন, ‘সিকদার গ্রুপের সঙ্গে জেলা পরিষদের এই ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি।’

Comments

The Daily Star  | English

Ban on plastic bags a boon for eco-friendly sacks

Availability of raw materials now a challenge

8h ago