রিয়াল মাদ্রিদের জালে ভ্যালেন্সিয়ার চার গোল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভালো না করতে পারলেও লা লিগায় দারুণ খেলছিল দলটি। ন্যু ক্যাম্প থেকে জয় নিয়ে ফেরার পর আগের ম্যাচে হুয়েস্কাকে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। তবে এবার ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে গিয়ে খেই হারিয়েছে দলটি। রীতিমতো তাদের উড়িয়ে দিয়েছে ভ্যলেন্সিয়া। ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হেরে শীর্ষস্থান হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ছবি: টুইটার

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভালো না করতে পারলেও লা লিগায় দারুণ খেলছিল দলটি। ন্যু ক্যাম্প থেকে জয় নিয়ে ফেরার পর আগের ম্যাচে হুয়েস্কাকে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। তবে এবার ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে গিয়ে খেই হারিয়েছে দলটি। রীতিমতো তাদের উড়িয়ে দিয়েছে ভ্যলেন্সিয়া। ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হেরে শীর্ষস্থান হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

তবে রিয়াল মাদ্রিদের হারে বড় দায় রয়েছে ডিফেন্ডারদের। চারটি গোলই প্রতিপক্ষকে উপহার দিয়েছে তারা। মার্সেলো, লুকাস ভাসকেস ও সের্জিও রামোস প্রতিপক্ষকে দিয়েছেন একটি করে পেনাল্টি। আরেক ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে অবশ্য এতো ঝামেলায় যাননি। সরাসরি আত্মঘাতী এক গোল দিয়েছেন। তাতেই বিবর্ণ রূপ জিনেদিন জিদানের শিষ্যদের। ২০১৮-১৯ মৌসুমে এ মাঠে ২-১ গোলে হারের পর গত মৌসুমে ১-১ ড্র করে ফিরেছিল রিয়াল।

অথচ রোববার রিয়ালের শুরুটা ছিল দারুণ। খেলাও ছিল বেশ গোছানো। দ্বাদশ মিনিটে লুকা মদ্রিচের শট ঝাঁপিয়ে গোলরক্ষক জুমে দোমেনেক না ফেরালে তখনই এগিয়ে যেতে পারতো রিয়াল। অবশ্য এগিয়ে যেতে খুব বেশি সময় নেয়নি তারা। ১১ মিনিট পর মার্সেলোর ব্যাকপাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া করিম বেনজেমার জোরালো শট হুগো গিয়ামসনের পায়ে লেগে দিক বদলে জালে জড়ায়।

২৯তম মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে বল ভাসকেসের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় ভ্যালেন্সিয়া। কার্লোস সোলেরের স্পটকিক ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক থিবো কর্তুয়া। ফিরতি বল বারপোস্টে লাগার পর ফের শট নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন ইউনুস মুসাহ। কিন্তু শট নেওয়ার সময় আগেই মুসাহ ডি-বক্সে ঢুকে যাওয়ার ভিএআরে যাচাই করে ফের পেনাল্টি নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। এবার অবশ্য কোনো ভুল করেননি সোলের। সফল স্পটকিকে দলকে সমতায় ফেরান।

৪৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডান প্রান্ত থেকে মাক্সি গোমেজের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে দেন ভারানে। তার পায়ে লেগে বল উপরের দিকে ওঠার পর শেষ মুহূর্তে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন এ ফরাসি। পড়ে থাকা অবস্থায় গোললাইন থেকে চেষ্টা করেছিলেন গোলরক্ষক কর্তোয়াও। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি কেউ। ভিএআরে দেখা যায় বল পেরিয়ে যায় গোললাইন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো ভ্যালেন্সিয়া। লি ক্যাং-ইনের দূরপাল্লার শট গোলরক্ষক কর্তুয়ার হাত স্পর্শ করে বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে ৫৪তম মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। আরও একটি সফল স্পটকিকে দলকে এগিয়ে দেন সোলের। ডি-বক্সের মধ্যে গোমেজকে মার্সেলো ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।

দুই মিনিট পরই অবশ্য ব্যবধান কমাতে পারতো রিয়াল। বদলি খেলোয়াড় ফেদ ভালভার্দের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক দোমেনেক। ৫৮তম মিনিটে আসেনসিও শটও রুখে দেন এ গোলরক্ষক। তবে ৬৩তম মিনিটে আরও একটি পেনাল্টি পায় ভ্যালেন্সিয়া। ডি-বক্সে বল রামোসের হাতে লাগলে ভিএআর দেখে তৃতীয় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আরও একটি স্পটকিকে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সোলের।

এরপর ব্যবধান কমাতে বেশ কিছু চেষ্টা করলেও আক্রমণ গোছাতে পারেনি রিয়াল। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পাওয়া দলটি আছে তালিকার চার নম্বরে। এক ম্যাচ বেশি খেলা ভ্যালেন্সিয়া ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে নবম স্থানে।

Comments