ট্রাম্পের ‘আইনি চ্যালেঞ্জে’ লক্ষ্য রাশিয়ার, মন্তব্য নেই চীনের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেনকে সোমবার পর্যন্ত কোনও অভিনন্দন বার্তা জানায়নি রাশিয়া ও চীন। নির্বাচন নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনি চ্যালেঞ্জের দিকে ক্রেমলিন লক্ষ্য রাখছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ট্রাম্পের আইনি চ্যালেঞ্জের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে ক্রেমলিন জানায়, মন্তব্য করার আগে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাইডেনের জয় নিয়ে নীরব আছেন। ভোটের আগে পুতিন অবশ্য বাইডেনের রাশিয়া-বিরোধী বক্তব্যকে অস্বীকার করে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তার মন্তব্যকে স্বাগত জানান। ট্রাম্পের সমালোচনার বিরুদ্ধে বাইডেনপুত্র হান্টারের পক্ষ নিয়েছিলেন পুতিন।
মার্কিন নির্বাচনের পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা আনুষ্ঠানিক ভোট গণনার জন্য অপেক্ষা করা উপযুক্ত মনে করি।'
নির্বাচনের চার দিন পর শনিবার হোয়াইট হাউজ জয়ের জন্য বাইডেনের ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট নিশ্চিত হয়। সারা দেশের সব ভোট মিলিয়ে বাইডেন ৪০ লাখেরও বেশি ভোটে ট্রাম্পকে পরাজিত করেন।
২০১৬ সালে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট জিতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করার সঙ্গে সঙ্গেই রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। এবার কেন এমন হলো না এমন প্রশ্নের জবাবে পেস্কভ জানান, অবশ্যই এখানে একটা স্পষ্ট পার্থক্য আছে।
'আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে এখানে প্রেসিডেন্ট কিছু আইনি বিষয়ের কথা বলছেন। এজন্য, এবার পরিস্থিতিটা আলাদা। তাই, আমরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করা উপযুক্ত বলে মনে করি,' তিনি বলেন।
পেস্কভ জানান, পুতিন যে কোনও মার্কিন নেতার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে অনেকবার বলেছেন। রাশিয়া আশা করে নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার উপায় বের হবে।
২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়াকে আলাদা করতে রাশিয়ার অবস্থান স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ককে আরও খারাপ করে। বাইডেন সে সময় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিতে রাশিয়ার মধ্যস্থতার অভিযোগ সম্পর্ককে আরও খারাপ পরিণতি দিয়েছে। যদিও, রাশিয়া সে অভিযোগ অস্বীকার করে।
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, 'আমরা দেখেছি বাইডেনকে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা জানি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মার্কিন আইন ও পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্ধারিত হবে।'
২০১৬ সালে নির্বাচনের একদিন পর ৯ নভেম্বর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
প্রযুক্তি ও বাণিজ্য থেকে শুরু করে হংকং এবং করোনাভাইরাস নিয়ে বিরোধের কারণে কয়েক দশক ধরে চীন ও আমেরিকার সম্পর্ক বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে।
Comments