বাংলাদেশের সম্মান রাখতে পেরেছি, এটাই বড় প্রাপ্তি: সালমা

salma khatun

ছেলেদের আইপিএলে এবার ছিলেন না বাংলাদেশের কোনো তারকা। মেয়েদের আইপিএল নামে পরিচিত উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে খেলেছেন বাংলাদেশের সালমা খাতুন ও জাহানারা আলম। এর মধ্যে প্রথমবার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরে খেলে দারুণ মুন্সিয়ানা দেখান সালমা। ফাইনালে তার দুর্দান্ত স্পেলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ট্রেইলব্লেজার্স। বড় মঞ্চে এমন নৈপুণ্যে দেখানো তারকা তৃপ্ত দেশের মান রাখতে পেরে।

সোমবার রাতে ফাইনালে সুপারনোভাসের বিপক্ষে ট্রেইলব্লেজার্সের ১৬ রানের জয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের তারকার। মোড় ঘোরানো এক স্পেলে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট। তার এই স্পেলের প্রশংসা ঝরেছে দলটির অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানার কণ্ঠেও।

দুবাই থেকে মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে সালমা জানান নিজের আত্মতৃপ্তির কথা, ‘বাংলাদেশ থেকে খেলতে এসেছি। দলও চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। এতে আমি খুশি। তবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো, দেশের সম্মান রাখতে পেরেছি। ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে পারব ইনশাল্লাহ।’

করোনার কারণে ভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলতে হয়েছে। আরব আমিরাতে গিয়ে থাকতে হয়েছে অচেনা পরিবেশে। তবে দ্রুতই সব মানিয়ে নিতে পেরেছিলেন তিনি, ‘প্রথমবার আইপিএল খেলার অভিজ্ঞা এক ভিন্নরকম, তবে তা চমৎকার। করোনার কারণে দেশে এবং দুবাইয়ে প্রায় চারবার করোনা টেস্ট করাতে হয়েছে। দুবাই এসে একটানা ছয় দিন কোয়ারেনন্টিনে রুমে আবদ্ধ থাকতে হয়েছে। গত মাসের ২৭ তারিখ আমরা অনুশীলন করতে পেরেছি। তবে মাত্র দুই-এক দিনের মধ্যেই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়। যদিও আগে কারো সঙ্গে তেমন সখ্যতা ছিল না।’

‘দলে যারা ভারতীয় খেলোয়াড় ছিল, তাদেরকে আগে থেকেই চিনতাম। কিন্তু একসঙ্গে আইপিএল খেলব, এই বিষয়ে কারো সঙ্গে কথা হয়নি। মাত্র চারজন আমরা বাইরে থেকে খেলতে গিয়েছি। সবার সাথে খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক হয়েছে। সবাইকে আমাকে বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে বেশ সম্মান দিয়েছে। ড্রেসিং রুমে সতীর্থরাও অনেক সহায়তাপরায়ণ ছিল। সবাই আমরা একে অপরকে সাহায্য করেছি। এছাড়া দলের ম্যানেজার, কোচ, ট্রেইনার, ফিজিও সবার কাছ থেকে অনেক ভালো ব্যবহার পেয়েছি। যার ফলে দলের সমন্বয় ভালো হয়েছে। এখানে এসে স্মৃতি মান্ধানার সঙ্গে অনেক ভালো সম্পর্ক হয়েছে। 

করোনার স্থবিরতায় মাঝে সাত মাস ঘরবন্দি ছিলেন। আইপিএল খেলার আগে ফ্লাড লাইটের আলোয় পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ দেওয়ায় বিসিবিকেও ধন্যবাদ দেন এই ক্রিকেটার।

সালমা মনে করেন, তার ও জাহানারার পারফরম্যান্স এই আসরে আগামীতে বাংলাদেশের আরও মেয়েরা ডাক পাবে, ‘উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে খেলার মতো বাংলাদেশে আরও অনেক ক্রিকেটার আছেন। যেহেতু দল মাত্র তিনটি। দল বাড়লে আশা করি বাংলাদেশ থেকে আরো দুই-তিনজন খেলোয়াড় ডাক পাবে। এখানে আমার ও জাহানারার খেলাটা দেশে মেয়েদের আরো উজ্জীবিত করবে ভালো ক্রিকেট খেলার। সেই সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞা নতুনদেরকে অনুপ্রাণিত করবে ফিটনেস ধরে রেখে ভালো ক্রিকেট খেলতে।’

Comments

The Daily Star  | English

BGMEA wants 3-month window from India to clear pending shipments

The association urges the interim government to send a letter to India seeking the opportunity

6h ago