রায়হান হত্যার ১ মাস: আলোকশিখা প্রজ্জ্বালনের মাধ্যমে প্রতিবাদ

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গত ১১ অক্টোবর পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন রায়হান আহমদ।
এ হত্যাকাণ্ডের একমাস পর আজ বুধবার সন্ধ্যায় সেই পুলিশ ফাঁড়ির সামনে আলোকশিখা প্রজ্জ্বালনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে সিলেটের নবগঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’।
এসময় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন এবং রায়হান হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের সবক্ষেত্রেই পুলিশি নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান।
আলোকশিখা প্রজ্জ্বালন পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তারা বলেন, ‘ঠিক এক মাস আগে এই ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে ধরে এনে নির্যাতন চালিয়ে মেরে ফেলা হয়। প্রধান অভিযুক্ত বহিষ্কৃত এসআই আকবর হোসেনকে গ্রেপ্তার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ। তবে তাকে পালিয়ে যেতে যে সিনিয়র অফিসাররা সহযোগিতা করেছেন, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।’
বক্তারা বন্দরবাজার ফাঁড়িসহ নগরীর সব ফাঁড়িতে চলতে থাকা অনিয়ম, অত্যাচার ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে এই চক্রের মূল উৎপাটন করার দাবি জানান।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া রায়হানের ছোট ভাই রাব্বি আহমদ তানভির বলেন, ‘আমার ভাইকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, আর কেউ যেন এরকম বিনা বিচারে হত্যার শিকার না হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
তিনি এ মামলার সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান।
এসময় রায়হানের খালা ফাহমিদা ইসলাম, খালাতো ভাই পাভেল আহমদ ও খালাতো বোন আমেনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি সিকন্দর আলী, আদিবাসী নেতা গৌরাঙ্গ পাত্র, প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী অ্যাডভোকেট মহিতোষ দেব মলয় ও সমাজকর্মী নিগাত সাদিয়া।
আয়োজক সংগঠন ‘দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’র পক্ষে বক্তব্য রাখেন সংগঠক আব্দুল করিম কীম, আশরাফুল কবির, দেবাশীষ দেবু, রাজীব রাসেল ও দেবব্রত চৌধুরী লিটন প্রমুখ।
Comments