বিদেশি নেতাদের শুভেচ্ছা নিতে বাইডেনকে বাধা
নির্বাচনে প্রাথমিক গণনায় প্রেসিডেন্ট বিজয়ী জো বাইডেনকে বিদেশি নেতাদের শুভেচ্ছা গ্রহণে বাধা দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাঠানো বার্তাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে আছে বলে সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা।
আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গত সপ্তাহে অনেক দেশ থেকে বার্তা আসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ঐতিহ্যগতভাবে সেসব বার্তা নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেহেতু নির্বাচনের প্রাথমিক ফল মেনে নেননি তাই তার প্রশাসন শুভেচ্ছা বার্তাগুলো বাইডেনের কাছে পৌঁছে দিতে বাধা দিচ্ছে।
বাইডেনের লোকেরা ব্যক্তিগতভাবে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিদেশি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এ কাজে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো সহযোগিতা পাননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, বাইডেনের লোকেরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিসোর্স ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু, সেখান থেকে বাধা পাওয়ায় তারা এখন এই অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা করছে।
এতে আরও বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে টিম বাইডেন শুধু যে অসহযোগিতা পাচ্ছে তাই নয়, গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই ডেমোক্রেট প্রার্থীর বিজয় মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন।
‘সুন্দরভাবে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে’— পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্য কূটনীতিকদের মধ্যে গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে।
কয়েকজন কূটনীতিক সিএনএন’কে বলেছেন, তাদের নেতারা নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানাতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাধা দেয়। পরে তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ের কূটনীতিকদের সাহায্য নিয়ে টিম বাইডেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, যখন সময় হবে তখন বাইডেনের লোকদের সহযোগিতা করতে মন্ত্রণালয় প্রস্তুত রয়েছে।
পার্টনারশিপ ফর পাবলিক সার্ভিসের সেন্টার ফর প্রেসিডেনশিয়াল ট্রানজিশনের পরিচালক ডেভিড ম্যারচিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে থেকেই অ্যাজেন্সিগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে আইন মোতাবেক কাজ করছে। সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন শুধু সবুজ সংকেতের অপেক্ষা।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সিএনএন’কে জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টরা যখন খুশি মন্ত্রণালয়ের রিসোর্স ব্যবহার করতে পারেন।
কিন্তু, বাইডেনের ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। যেহেতু তিনি প্রাথমিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তাই ট্রাম্প প্রশাসন তাকে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নিতে বাধা দিচ্ছে।
শুধু তাই নয়, নিয়ম অনুযায়ী নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বর্তমান প্রেসিডেন্টের প্রতিদিন ব্রিফ করার কথা, যাতে তিনি আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের আগে রাষ্ট্রীয় বিষয়গুলো জানতে পারেন। বাইডেনকে সেই ব্রিফও দিচ্ছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Comments