আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে উপকূলে শান্তির সুবাতাস বইবে: র্যাব
১১টি বাহিনীর ৩৪ জন ডাকাত আজ বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের উপস্থিতিতে র্যাব আয়োজিত এক আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে এই ডাকাতরা আত্মসমর্পণ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যগণ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ, বিপিএম (বার) সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে এসে গণমাধ্যমকে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘মহেশখালী উপকূল অঞ্চলে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ মানুষ বসবাস করে। এই মানুষগুলোর জীবিকা নির্ভর করে উপকূল কেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। কিন্তু এই ডাকাতদের কারণে তারা এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছেন। ডাকাতদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হবেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে দিয়ে উপকূল অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরবন মহেশখালীতে একাধিকবার আত্মসমর্পণের পর আমরা এবার আরেকটি আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। ১১টি বাহিনীর ৩৪ জন ডাকাত আত্মসমর্পণ করছেন। যাদের এর আগে আত্মসমর্পণ করা সুযোগ ছিল না তারাই এবার সুযোগ পাচ্ছেন। এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে এই উপকূল এলাকা ডাকাত মুক্ত হবে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, আত্মসমর্পণ করা ডাকাতদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই রয়েছে মামলা। হত্যা ও ধর্ষণ মামলা ছাড়া অন্য মামলাগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হবে।
তাছাড়া যারা ডাকাতদের তৈরির পিছনে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে যারা কাজ করেছেন তাদের ওপর র্যাব নজরদারি করছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে যোগ করেন তিনি।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত র্যাব-৭ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪৮ জন ডাকাতকে আটক করে। উদ্ধার করে ৭৯৭টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং আট হাজার ৮৪২ রাউন্ড গোলাবারুদ। এছাড়াও ২০১৮ সালে ৪৩ জন ডাকাত র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
Comments