ঢাকা-১৮ উপ-নির্বাচন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচন আরও নিচে নেমে গেছে: মাহবুব তালুকদার

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনের মান আরও নিচে নেমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

তিনি  মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আমি ঢাকা-১৮ নির্বাচনী এলাকার উপ-নির্বাচনে নিকুঞ্জ, খিলক্ষেত ও উত্তরার ১৪টি কেন্দ্রের ৭০টি বুথ পরিদর্শন করি। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আমার ধারণা হয়েছে, বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচন আরও নিচে নেমে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন মোটেই অংশগ্রহণমূলক হয়নি। আমি বিরোধী দলের কোনও পোলিং এজেন্ট কোনও কেন্দ্রে দেখিনি, কেবল কুর্মিটোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খিলক্ষেতের ভোটকেন্দ্রে একটি বুথে নারী পোলিং এজেন্টের উপস্থিতি দেখতে পাই।’

এই উপ-নির্বাচনে আচরণ বিধিও লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনী এলাকায় একটি দলের পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও বিলবোর্ড দেখা যায়, যা আচরণ-বিধি অনুযায়ী নির্বাচনের পূর্বে তুলে ফেলা উচিত ছিল।’

আমি নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার প্রত্যাশা করে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচনকে আমি কেবল প্রার্থীর বা দলের জয়-পরাজয় বলে মনে করি না। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রে উত্তরণের একমাত্র অবলম্বন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশীদারমূলক ও গ্রহণযোগ্য না হলে ক্ষমতার হস্তান্তর স্বাভাবিক হতে পারে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য না হলে দেশের স্থিতিশীলতা, সামাজিক অস্থিরতা ও ব্যক্তির নৈরাশ্য বৃদ্ধি পায়। এর ফলে নৈরাশ্য থেকে নৈরাজ্য সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নৈরাজ্য প্রবণতা কোনও গণতান্ত্রিক দেশের জন্য মোটেই কাম্য নয়।’

Comments

The Daily Star  | English

Foreign observers who endorsed past three polls won’t be allowed: CEC

Only experienced and reliable observers will be permitted to monitor the upcoming national election, he says

Now