দেশে ১০ মাসে মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনায় সহস্রাধিক নিহত
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ১০১১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০২৬ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭২৪ জন ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী। পেশাগত দিক বিবেচনায় নিহতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০৮ জন শিক্ষার্থী এবং ৩৭ জন শিক্ষক রয়েছেন।
এ সময়ের মধ্যে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেছে ১২৪ জন পথচারীর, যা মোট নিহতের ১২ দশমিক ০৮ শতাংশ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার এই পরিসংখ্যান আজ প্রকাশ করেছে।
সংগঠনটি তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। অন্যান্য যানবাহনের দুর্ঘটনার সঙ্গে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা যুক্ত হয়ে পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ পর্যায়ে। মোটরসাইকেল ব্যবহারের প্রবণতা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। চার চাকার যানবাহনের তুলনায় মোটরসাইকেল ৩০ গুণ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার বড় কারণ হিসেবে তরুণ বয়সী চালকদের বেপরোয়া মনোভাব, তাদের অসুস্থ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে দায়ী মনে করছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। দেশে গণপরিবহনের বিশৃঙ্খলা ও দৈন্যদশার কারণে মানুষ মোটরসাইকেলের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বাহনের দিকে ঝুঁকছে বলেও মনে করছে সংগঠনটি।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। তাদের সুপারিশের মধ্যে রয়েছে: কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া; উচ্চ গতিসম্পন্ন মোটরসাইকেল উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ; গণপরিবহন চালকদের বেতন ও কর্ম-ঘণ্টা নির্দিষ্ট করা; গণপরিবহন উন্নত করে মোটরসাইকেলকে নিরুৎসাহিত করার মতো ব্যবস্থা।
সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ৩১ লাখ মোটরসাইকেল রয়েছে। শুধু রাজধানীতেই চলছে ১০ লাখের বেশি। মোটরসাইকেল ব্যবহারের প্রবণতা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।
Comments