চিম্বুক পাহাড়ে হোটেল নির্মাণের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও সমাবেশ
বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ে ম্রো সম্প্রদায়ের এক হাজার একর জমি বেদখল করে পাঁচ তারকা হোটেল ও পার্ক নির্মাণের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সংহতি সমাবেশ করেছে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় এলাকায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন ও সমাবেশে অনতিবিলম্বে এসব নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবি জানান তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিকদার গ্রুপের এই হোটেল চিম্বুক পাহাড়ে নির্মাণ হলে প্রত্যক্ষভাবে ম্রোদের চারটি পাড়া এবং পরোক্ষভাবে ৭০-১১৬টি পাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে প্রায় ১০ হাজার জুমচাষি উদ্বাস্তু হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আদর্শকে সামনে রেখে পাহাড়িদের ভূমি দখল নয়, পাহাড়িদের নিজস্ব অধিকার দিতে হবে এবং চিম্বুক পাহাড়ে অবিলম্বে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ ও ম্রো উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।’
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল এর চট্টগ্রাম-৩ অঞ্চলের সভাপতি এডভোকেট ভুলন লাল ভৌমিক বলেন, ‘বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগণকে নিশ্চিহ্ন করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।’
জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কেন্দ্রের সদস্য সচিব ডা. সুশান্ত বড়ুয়া বলেন, ‘চিম্বুক পাহাড় রক্ষার্থে যে আন্দোলন সূচনা করেছে সেই আন্দোলকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। চিম্বুক পাহাড়ে ম্রোদের ভূমি যদি দখল করা হয়, তাহলে ম্রো জনগোষ্ঠীসহ আমরা সমতলে সকল পেশাজীবী মানুষ জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলবো।’
প্রতিবাদ সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমিসহ পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
Comments