করোনা মোকাবিলায় বাড়াতে হবে আঞ্চলিক সহযোগিতা

একমত চীন, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ

করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে চীন, পাকিস্তান, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ।

গত মঙ্গলবার এই পাঁচ দেশেল প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে চলমান কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।

গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘পারস্পরিক স্বার্থে বিভিন্ন খাতে সকলেই যাতে লাভবান হতে পারে, সেজন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই পরামর্শের সবাই গুরুত্বের সঙ্গে মেনে নিয়েছে।’

গত বৃহস্পতিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারতে নিযুক্ত চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও চীনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুও জাওহুই। এই বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ এই বৈঠকে অংশ নেয়।’

তিনি জানান, মহামারি মোকাবিলা করে এবং এর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ঠেকাতে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে।

চীনের আমন্ত্রণে এটি কোভিড-১৯ বিষয়ক দ্বিতীয় মন্ত্রী পর্যায়ের সভা। এর আগে গত জুলাই মাসে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও নেপালের সঙ্গে একই ধরনের বৈঠক করেছিল দেশটি। তবে এবারের বৈঠকে আফগানিস্তান অনুপস্থিত থাকলেও নতুন করে যুক্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পাঁচ দেশ কোভিড-১৯ মহামারি বিষয়ক ধারণা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে জোরদার করতে ‘রাজনৈতিক ঐক্যমত্য’ গঠনের জন্য এই বৈঠক করেছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ কে যৌথভাবে পরাজিত করতে, জনগণের জীবন বাঁচাতে, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতি কাটিয়ে উন্নয়নের গতি বাড়াতে চীন, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা কোভিড-১৯ এর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত একটি প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ভিডিও কনফারেন্স আহ্বান করেছে ১০ নভেম্বরে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাঁচটি দেশই একমত হয়েছে যে শরৎ এবং শীতকাল কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য একটি সংকটময় সময়। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় নীতি ও কাজের তথ্য ভাগাভাগি এবং পরস্পর সমন্বয় জোরদার করতে সবাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, চীন পরীক্ষা, চিকিত্সা ও ওষুধের বিষয়ে বাকি চারটি দেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে এবং পণ্য সরবরাহে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত রয়েছে।

কোভিড-১৯ মোকাবিলা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিকাশ এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও বিকাশ জোরদার করতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অগ্রগতির সমন্বয় সাধনের বিষয়েও দেশগুলো একমত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ কাঠামোর অধীনে অবকাঠামোগত যোগাযোগ দ্রুত গতিতে উন্নীত হবে। সীমান্ত বন্দরগুলোতে মালামালের সহজ পরিবহণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব জানান, এই মহামারির সময়ে অনেক দেশের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডও এই দায় নিতে প্রস্তুত নয়।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students continue blockade for 2nd day

Jagannath Oikyo has declared the university indefinitely closed

21m ago