নাফ নদীতে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াবা চোরাকারবারি নিহত
![Gunfight_New_Logo Gunfight_New_Logo](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/gunfight_new_logo.jpg?itok=Cxi6CPt_×tamp=1628242991)
টেকনাফের নাফ নদীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি টহল দলের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন।
আজ শনিবার ভোররাত ৪টার দিকে টেকনাফ সদরে নাফ নদীর এক নম্বর স্লুইস গেট এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম জানা যায়নি। এ ঘটনায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান আসতে পারে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ সদর বিওপি এলাকার এক নম্বর স্লুইস গেট সংলগ্ন এলাকায় স্পিডবোটে টহল জোরদার করে বিজিবি। এসময় তিন ব্যক্তি একটি মাছধরার হস্তচালিত নৌকাযোগে নাফ নদীর মিয়ানমার অংশের জলসীমা পার হয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করলে টহলরত বিজিবি সদস্যরা নৌকাটিকে থামার সংকেত দেন। তখন ওই নৌকা থেকে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। সেসময় নৌকা থেকে দুই ব্যক্তি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাতার কেটে মিয়ানমারের জলসীমায় চলে যায়। এক পর্যায়ে গোলাগুলি থেমে গেলে নৌকাটিতে তল্লাশি চালায় বিজিবি। এতে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
এসময় নৌকা থেকে দুই লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি দেশিয় তৈরি বন্দুক ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি।
এই বিজিবি কর্মকর্তা আরও জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ছয় কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে টেকনাফ থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
Comments