রামোসের দুটি পেনাল্টি ফিরিয়েও জয়বঞ্চিত সুইজারল্যান্ড
মাঠে নেমেই রেকর্ডের পাতায় ঢুকে গেলেন সার্জিও রামোস। ইউরোপের ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তি নিজের করে নিলেন তিনি। কিন্তু উপলক্ষটা রাঙানো হলো না স্পেনের তারকা ডিফেন্ডারের। বরং বিব্রতকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক। বিস্ময়করভাবে মিস করে বসলেন দুটি পেনাল্টি! তারপরও শেষ মুহূর্তের গোলে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
শনিবার রাতে বাসেলের সেন্ট জ্যাকব-পার্কে উয়েফা নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের চার নম্বর গ্রুপের ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ ব্যবধানে। প্রথমার্ধে সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে নিয়েছিলেন রেমো ফ্রেউলার। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মিনিটখানেক আগে স্পেনকে সমতায় ফেরান বদলি জেরার্দ মোরেনো।
স্পেনের জার্সিতে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে নিজের ১৭৭তম ম্যাচ খেলেন রামোস। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ২৩ মিনিটের ব্যবধানে দুবার স্পট-কিক থেকে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন তিনি। দুবারই ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার দুর্বল শট রুখে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। প্রথমে ৫৭তম মিনিটে। এরপর ৮০তম মিনিটে। অথচ ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে সবশেষ ২৫টি পেনাল্টির সবকটিতে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন রামোস।
পুরো ম্যাচ ছিল স্প্যানিশদের কব্জায়। বল দখলে আধিপত্য দেখানোর পাশাপাশি অসংখ্য সুযোগ তৈরি করে তারা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল আদায় করতে পারেনি ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। বিপরীতে, পাল্টা-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে সুইসরাও বেশ কয়েকবার ভীতি ছড়ায় অতিথিদের রক্ষণে। তবে তারা পুরো ১১ জন নিয়ে ম্যাচ শেষ করতে পারেনি। ৭৯তম মিনিটে আলভারো মোরাতাকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নিকো এলভেদি।
পাঁচ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে নেমে গেছে স্পেন। অন্য ম্যাচে ইউক্রেনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে জার্মানি উঠে গেছে শীর্ষে। লাইপজিগের রেড বুল অ্যারেনায় রোমান ইয়ারেমচুকের লক্ষ্যভেদে পিছিয়ে পড়েছিল জোয়াকিম লোর দল। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা তুলে নেয় পূর্ণ পয়েন্ট। জোড়া গোল করেন টিমো ভার্নার। বাকি গোলটি আসে লেরয় সানের পা থেকে।
৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে ইউক্রেন। ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তলানিতে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। শেষ রাউন্ডে আগামী মঙ্গলবার রাতে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। অন্য ম্যাচে স্পেনের মাঠে আতিথ্য নেবে জার্মানি। হাইভোল্টেজ এই লড়াইয়ের ফল অনুসারে নেশন্স লিগের ফাইনালসে জায়গা করে নেবে একটি দল।
Comments