তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় কারাগারে রাবি সাংবাদিক

রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

পাঁচ বছর আগে করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় যুগান্তরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রতিনিধি ও রাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মানিক রাইহান বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, ২০১৫ সালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা এক মামলায় গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাপ্পীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন।

বাপ্পীর বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ছাড়া, রাবি প্রেস ক্লাবের ২৯তম কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বাপ্পী বর্তমানে যুগান্তরের রাবি প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

জানা যায়, ‘রাবির আবাসিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে হলে সিট বাণিজ্যের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০১৫ সালে ২৪ অক্টোবর যুগান্তরসহ ১৬টি পত্রিকার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের তৎকালীন আবাসিক শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমান।

সে সময়ে বাপ্পী ২৪বিডিটাইম ডটকম নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মামলার এজহারে তার নামও উল্লেখ করা হয়েছিল।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ আরও সাত জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, মতিহার থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোমিন।

মোমিন বলেন, ‘মামলার এজহারে ১৬টি পত্রিকার কথা উল্লেখ থাকলেও, ফরেনসিকে গিয়ে কয়েকটি পত্রিকার তথ্য-প্রমাণ মেলেনি। যেসব পত্রিকার তথ্য-প্রমাণ মিলেছে, সেখান থেকে আট জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। পরে আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।’

এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাপ্পীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকেরা।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago