ইথিওপিয়া থেকে ইরিত্রিয়ার রাজধানীতে রকেট হামলা

ইথিওপিয়ার তিগ্রাইয়ের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি

ইথিওপিয়ার তিগ্রাই অঞ্চল থেকে সীমান্তের ওপারে ইরিত্রিয়ায় রকেট ছোড়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম ও কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইরিত্রিয়ার রাজধানী আসমারার বাইরে একাধিক রকেট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।

গতকাল শনিবার সকালে তিগ্রাইয়ের ক্ষমতাসীন দল তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) ইরিত্রিয়ার লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলার হুমকি দিয়েছিল।

দলটির মুখপাত্র গেতাশু রেদা স্থানীয় টেলিভিশনকে বলেন, ‘আসমারা ও মাসাওয়ার মধ্যে যে কোনো ধরনের সৈন্য চলাচলে বাধা দিতে আমরা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারি।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার রাতে ছোড়া রকেটের মধ্যে অন্তত দুটি আসমারা বিমানবন্দরে আঘাত হেনেছে। এতে ইথিওপিয়ার তিগ্রাই রাজ্যে স্থানীয় বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শনিবার রাতে আসমারা অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানায়।

ইরিত্রিয়ার আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা টেসফা নিউজের ওয়েবসাইট এক টুইটে জানায়, তিগ্রাইয়ের টিপিএলএফ নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল থেকে ছোঁড়া রকেট বিমানবন্দরে আঘাত না করে শহরের উপকণ্ঠে আঘাত করেছে।

হামলার পর থেকে গনদার ও বিহার দার বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।

গত শুক্রবার রাতেও তিগ্রাইয়ের প্রতিবেশী ইথিওপীয় রাজ্য আমহারার দুটি বিমানবন্দরেও রকেট হামলা হয়। তিগ্রাইয়ে সেনা পাঠাতে এই বিমানবন্দর দুটি ব্যবহার করছিল ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষ।

টিপিএলএফ এর দাবি, তিগ্রাইতে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতে এই বিমানবন্দর দুটিতে হামলা চালানো হয়েছে।

টিপিএলএফের ফেইসবুক পেজে দলটির মুখপাত্র গেতাশু বলেন, ‘তিগ্রাইয়ের মানুষের ওপর হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ আরও তীব্র হতে থাকবে।’

গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি হয়।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, তিগ্রাইকে কেন্দ্র করে হওয়া সংঘাতের কারণে ১৭ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক ইথিওপিয়ার সীমান্ত পার করে প্রতিবেশী সুদানে আশ্রয় নিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Jute prices jump amid supply crunch, polybag ban

Prices of raw jute, once dubbed the “golden fibre” of Bangladesh, have increased by nearly 19 percent year-on-year as demand has outpaced supply following the government’s ban on polythene bags.

12h ago