কক্সবাজারে আরও ১ মৃত হাতি

প্রতীকী ছবি।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন পানেরছড়া বন রেঞ্জের খরুলিয়াছড়ার শাইরারঘোনা বনভূমি থেকে একটি হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, হাতিটি যেখানে পড়েছিল, তার পাশে নুরুল হক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির মৎস্য খামার রয়েছে। মৎস্য খামারের অনতিদূরে বসতবাড়ি আছে। মৎস্য খামার এবং সেসব বাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হয়েছে। ওই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে হাতিটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পানেরছড়া রেঞ্জ বন কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে বনকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। প্রাথমিকভাবে হাতিটির শরীরে কোনো বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে হাতিটি অনেক বয়স্ক। সন্ধ্যায় ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন এসে হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর মাটিতে হাতির মরদেহ পুঁতে ফেলা হয়।’

হাতিটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য বন বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে হাতিটির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

গত ৭ নভেম্বর শনিবার বেলা ২টায় কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফুলছড়ি বন রেঞ্জের খুটাখালি বিটের কালারপাড়া সংরক্ষিত বনভূমি থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একটি হাতির মরদেহ উদ্ধার করেন বনবিভাগের কর্মীরা।

এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর চকরিয়া থানায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী হন খুটাখালি বনবিট কর্মকর্তা রেজাউল করিম। মামলায় আপন দুই ভাই মিজানুর রহমান ও নাসির উদ্দীনের নাম উল্লেখ করে পাঁচ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে মোট সাত জনকে আসামি করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

8h ago