প্রতিশোধ নিয়ে ইংল্যান্ডকে বিদায় করল বেলজিয়াম
উয়েফা নেশন্স লিগের দ্বিতীয় আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হলো ইংল্যান্ডকে। গ্যারেথ সাউদগেটের দলের বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতে হারের প্রতিশোধ নিল বেলজিয়াম। দারুণ জয়ে আসরের ফাইনালসে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করল রবার্তো মার্তিনেজের শিষ্যরা।
রবিবার রাতে লুভেনের কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে ‘এ’ লিগের দুই নম্বর গ্রুপে ২-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। দশম মিনিটে ইউরি টিলেমানস বেলজিয়ামকে এগিয়ে নেওয়ার পর ২৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ড্রিস মার্টেন্স।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাশাপাশি ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল বেলজিয়ামের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় তারা। কিন্তু গোলের সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি হ্যারি কেইন-জ্যাডন স্যাঞ্চোরা। তাছাড়া, অনেক ফাউলের শিকার হওয়ায় তাদের খেলার স্বাভাবিক ছন্দও নষ্ট হয় বারংবার।
দশম মিনিটে নিজেদের অর্ধে ইংলিশরা বল হারালে সতীর্থের পা ঘুরে তা পেয়ে যান রোমেলু লুকাকু। তিনি খুঁজে নেন টিলেমানসকে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন তিনি। বল প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার টাইরন মিংসের পা ছুঁয়ে পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়। গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড ঝাঁপিয়ে পড়ে হাত লাগালেও বল ফেরাতে পারেননি।
দুই মিনিট পর ইংল্যান্ডকে সমতায় ফিরতে দেননি লুকাকু। কিয়েরান ট্রিপিয়ারের কর্নারে কেইনের হেডে পরাস্ত হয়েছিলেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। আরেকটি হেডে বল গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার।
২৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্টেন্স। চোখ ধাঁধানো বাঁকানো ফ্রি-কিকে লক্ষ্যভেদ করেন নাপোলি ফরোয়ার্ড। দশ মিনিট পর সুযোগ আসে ইংল্যান্ডের সামনে। তবে জ্যাক গ্রিলিশের কাট-ব্যাকে ম্যাসন মাউন্টের ভলি চলে যায় বারের অনেক উপর দিয়ে।
৪৫তম মিনিটে মাউন্টের পাসে ডি-বক্সের ভেতরে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন কেইন। তিন ডিফেন্ডারের মধ্য থেকে তার নেওয়া প্রচেষ্টা রুখে দেন কোর্তোয়া। কিছুক্ষণ পরেই ট্রিপিয়ারের কর্নারে হেড লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন মাউন্ট।
বিরতির পরপরই বেলজিয়াম ডিফেন্ডার কেভিন ডি ব্রুইনের গড়ানো শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫৭তম মিনিটে মাউন্টের ব্যাক হিলে কেইনের দুর্বল শট লুফে নেন কোর্তোয়া। তিন মিনিট পর ডি-বক্সের ভেতর থেকে বল উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন গ্রিলিশ।
৭৭তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন লুকাকু। মার্টেন্সের পাসে তার শটের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান পিকফোর্ড। এরপর আর কোনো দলই উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ করতে পারেনি।
পাঁচ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে বেলজিয়ামের পয়েন্ট ১২। দুই নম্বর গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে তারা। তাদের একমাত্র হারটি এসেছিল গত মাসে ইংল্যান্ডের কাছে। তিনে থাকা থ্রি লায়ন্সদের অর্জন ৭ পয়েন্ট।
আরেক ম্যাচে নিজেদের মাঠে আইসল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালসে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ডেনমার্ক। দলটির পয়েন্ট ১০। আইসল্যান্ডের পয়েন্টের খাতা এখনও শূন্য।
শেষ রাউন্ডে আগামী বুধবার রাতে বেলজিয়ামের মাঠে খেলতে নামবে ডেনমার্ক। স্বাগতিকরা ড্র করলেই নাম লেখাবে ফাইনালসে। অতিথিদের সামনে জয়ের কোনো বিকল্প নেই।
Comments