নোয়াখালীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৩

নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় আলাদা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার তারা মারা যান।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় আলাদা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার তারা মারা যান।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের।

নিহত তিন জন হচ্ছেন— সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা আল আমিন বাজার এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো সুমন (২৭), হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে রাজু (১৮) ও একই এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে নাহিদ হোসেন (১৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় জাহাজমারা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন রাজু ও নাহিদ। তাদের মোটরসাইকেলটি বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পানিতে পড়ে যায়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা রাজু ও নাহিদ গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে, গতকাল রাত ৮টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত সুমন। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে কর্মস্থল থেকে আটকপালিয়া সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুমন। পথে সাইফ মার্কেট এলাকায় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি নষ্ট রোলার মেশিনের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলটি ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলটি ধুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে সড়কে পড়ে গুরুত্বর আহত হন সমুন। স্থানীয় লোকজন সুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যায়। গতকাল রাতে ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, অতিরিক্ত গতির একটি মোটরসাইকেল গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago