এখনও মেসির সঙ্গে অনেক কথা বলেন সুয়ারেজ, তবে...

ফাইল ছবি: রয়টার্স

বাধ্য হয়েই চলতি মৌসুমের শুরুতে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। লা লিগায় নিজেদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে গেলেও এখনও বার্সা অধিনায়ক লিওনেল মেসির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব আগের মতো রয়েছে বলে জানান তিনি। এখনও তারা জীবন নিয়ে অনেক কথাই বলেন। তবে তাদের আড্ডায় ফুটবল প্রসঙ্গে খুব কম আলোচনাই উঠে আসে।

সম্প্রতি মাদ্রিদভিত্তিক দৈনিক মার্কাকে সাক্ষাৎকারে মেসির সঙ্গে বন্ধুত্বের ব্যাপার নিয়ে অনেক কথাই বলেন সুয়ারেজ। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ও জীবন নিয়ে বেশি আলোচনা করেন তারা। দুই বন্ধু এখন লা লিগায় প্রতিদ্বন্দ্বী। স্বাভাবিকভাবেই তাই ফুটবল প্রসঙ্গ ওঠে কম। সুয়ারেজের ভাষায়, 'সত্যি বলতে কি এখনও মেসি এবং আমি অনেক কথাই বলি। তবে ফুটবল নয়, আমরা জীবনযাপন নিয়েই বেশি কথা বলি।'

আর নিজেদের মধ্যে আলোচনার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সুয়ারেজ আরও বলেন, 'সম্প্রতি আমার এবং তার সন্তানের জন্মদিনে আমরা আমাদের জীবন, ভাইরাস এবং সব কিছু নিয়েই কথা বলেছি। তবে ফুটবল নিয়ে খুব কমই। যে সকল গোলের সুযোগ মিস করেছি কিংবা টেকনিক্যাল সিস্টেম নিয়েও কিছু। ফুটবলে কি হচ্ছে এর চেয়ে বেশি জীবনে কি হচ্ছে এ নিয়ে আমরা বেশি বিচলিত।'

বার্সেলোনা থেকে বিদায়টা ভালো হয়নি সুয়ারেজের। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেকটা জোড় করেই তাকে বের করে দেওয়া হয়। তাও মাত্র একটি ৬০ সেকেন্ডের ফোন কলে তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হয়। অথচ বার্সার ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। তবে কাতালান ক্লাবের কর্তারা তাকে মূল্যায়ন না করলেও বেশ কিছু ক্লাবই তাকে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য যোগ দিয়েছেন অ্যাতলেতিকোতে।

আর অন্য ক্লাবগুলো তাকে মরিয়া হয়ে নিতে চাওয়ার কারণে গর্ব অনুভব করছেন এ উরুগুইয়ান তারকা, 'আমি আগেই বলেছি, যেভাবে বের হয়েছি তাতে আমি দুঃখিত ছিলাম এবং কষ্ট পেয়েছি। যখন তারা দরজা বন্ধ করে দেয় তখন আরও পাঁচটি খুলে যায়, যারা আমার কাজ, পেশাদারিত্ব এবং ট্র্যাজেক্টরিকে মূল্যায়ন করে। আমি গর্ব অনুভব করেছি। যখন তারা আমাকে চায়নি, তখন অন্য কেউ আমাকে চেয়েছে। আমি সুখ খুঁজে পেয়েছি এবং আমি এ মুহূর্তগুলো উপভোগ করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago